বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা, থিমের ভিড় থাকলেও বনেদি বাড়ির পুজোর আকর্ষণ অপেক্ষা করার সাধ্য কারোর নেই। নানান রাজবাড়ি এবং জমিদার বাড়ির মাঝে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির পুজো অন্যতম। রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) এবং কোয়েল মল্লিকের (Koel Mallick) বাড়ির পুজো বলেও বিশেষ খ্যাতি আছে মল্লিক বাড়ির।
প্রতি বছর দূর্গাপুজো উপলক্ষে মানুষের ঢল নামে মল্লিক বাড়িতে। মাঝে দু বছর করোনার জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকলেও এ বছর সবার জন্য ছিল অবারিত দ্বার। রঞ্জিত মল্লিক কোয়েল মল্লিক বাবা মেয়ের জুটি তো বটেই, এ বছর আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল আরো একজন।
তিনি অবশ্য খুদে একজন মানুষ। কোয়েল পুত্র কবীর। দু বছরে পা দিয়েছে পুঁচকে। বেশ দুষ্টুও হয়েছে। দূর্গাপুজো উপলক্ষে এত মানুষের সমাগম দেখে অবাক ছোট্ট কবীর। রঞ্জিৎ মল্লিকও নাকি নাতিকে পেয়ে মেয়েকে ভুলে গিয়েছেন। নাতিই এখন তাঁর সব, কপট নালিশ কোয়েলের।
পুজোর কটা দিন উমার সঙ্গে সঙ্গে কোয়েলও আসেন বাপের বাড়িতে। হাত লাগান পুজোর কাজে। তবে এ বছর একটু বেশিই ব্যস্ত ছিলেন কোয়েল। কারণ পুজোর কাজ, অতিথি আপ্যায়ণ ছাড়াও কবীরকেও সামলাতে হচ্ছিল তাঁকে। অতিথিদের ভোগ বিতরণের সঙ্গে সঙ্গে ছেলের খাওয়ার সময়টাও মাথায় রেখেছিলেন অভিনেত্রী।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, কবীর খুব আনন্দ করছে। একবার দাদুর সঙ্গে কাঁসর বাজাচ্ছে, আবার কখনো শাঁখ বাজাচ্ছে। অন্যদিকে রঞ্জিত মল্লিকও নাতিকে পেয়ে খুব খুশি। মেয়েকে নাকি ভুলেই গিয়েছেন। কোয়েল জানালেন, দাদু আর নাতি একে অপরকে ‘গুরু’ নাম দিয়েছে। ওই নামেই ডাকে একে অপরকে।
প্রতিবাদ করেননি বর্ষীয়ান অভিনেতা। স্বীকার করে নিয়েছেন, নাতিকে পেয়ে সত্যি সত্যিই মেয়ে আর জামাইকে ভুলে গিয়েছেন তিনি। এই পুজোর দিনগুলো তাঁর কাছে স্বর্গীয় অনুভূতির মতো লাগে বলেও মন্তব্য করেন রঞ্জিত মল্লিক। কারণ এই কটা দিনেই গোটা পরিবারের সদস্যরা আবার এক জায়গায় হন। জমজমাট হয়ে ওঠে মল্লিক বাড়ি।