জলপাইগুড়িতে উদ্ধারকার্য, প্রশাসনের সাহায্য না মেলায় হাসপাতালে চলল ভাঙচুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল রাতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে বীভৎস ঘটনার সাক্ষী থাকে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজার অন্তর্গত মাল নদী (Mal River)। আচমকাই হড়পা বান আসায় জলের তীব্র গতিতে ভেসে যায় অসংখ্য মানুষ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত বহু আর এবার এ ঘটনায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি প্রশাসনিক সাহায্য না মেলার ঘটনায় ভাঙচুর চালানো হলো হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

উল্লেখ্য, গতকাল দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মাল নদীতে আচমকা হড়পা বান আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে আট জনের প্রাণ গিয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বৃষ্টি আসার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে উদ্ধার কার্য। বহু সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করার সময় সেখানে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না কেন?

যদিও এক ডিফেন্স কর্মী জানান, “আমাদের কাছে কেবলমাত্র দড়ি ছিল। যদি আরো কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতো, তবে উদ্ধারকার্য আরো দ্রুত হতো।”

সূত্রের খবর, মাল নদীতে আগে থেকেই বোল্ডার ফেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নদীর যে দিকে স্রোত বেশি ছিল, সেখানেই বিসর্জন করা হয়ে চলেছিল। এক্ষেত্রে কয়েকদিন আগেও এই নদীতে হড়পা বান আসে। তবে সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন।

jpg 20221006 125807 0000

একইসঙ্গে, গতকাল মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে আহতদের উদ্ধার করে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইসঙ্গে মোট আটজনের মৃতদেহ পৌঁছে যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে এখানেই উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। প্রশাসনিক তরফ থেকে সাহায্য না মেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় কিছু সংখ্যক মানুষ। পরবর্তীতে অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করা গিয়েছে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি মৃতদের পরিবার পিছু দুই লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর