বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালবাজারে (Malbazar) প্রতিমা বিসর্জনের সময় আঘাত হানে হড়পা বান। এই বিপর্যয়ে মৃতের আসল সংখ্যা লুকিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনই দাবি করলেন বিধানসভায় বিজেপির (BJP) মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। এদিন বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের একটি দল জলপাইগুড়ি ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিপর্যয়ের জন্য পুলিস ও প্রশাসনকেও দায়ী করেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলো।
বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘আগে থেকে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে এখানে একটি ট্রাক জলের তোড়ে ভেসে যায়। তার পরও প্রশাসন এত উদাসীন কেন? কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করল না কেন?’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘যুবরাজ এলে তো পুলিসে পুলিসে এলাকা ছেয়ে যায়। আর সাধারণ মানুষের জন্য সিভিল ডিফেন্সের ৮ জন কর্মী আর দড়ি কেন?’ তাঁর অভিযোগ, হড়পা বানে যখন শিশু – মহিলারা ভেসে যাচ্ছে তখন স্থানীয় যুবকরা জলে ঝাঁপ দিয়ে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিসই তাঁদের বাধা দেয়।’
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাট তৈরি ছিল। মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা সরঞ্জাম। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক, চেয়ারম্য়ান সহ অনেকেই। আচমকাই প্রবল বেগে ছুটে আসে হড়পা বান। তাতেই ভেসে যান নদীতে নামা বহু মানুষ। সাবধান হওয়ার কোনও সুযোগই তাঁরা পাননি। নদীগর্ভে বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। সবকিছুই জলের তোড়ে ভেসে যায়। নদীতে বিসর্জনের জন্য যেসব ট্রাক নেমেছিল জলের তোড় সেইসব ট্রাকের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে ট্রাকে থাকা মানুষজন ভেসে যান। মাল নদীতে এরকম হড়পা বান নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই এরকম এক হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিল একটি আস্ত ট্রাক। ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারে নেমে পড়ে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে বহু মানুষ ভেসে গিয়েছেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।