বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে কার্নিভ্যাল (Durga Puja Carnival) বিরোধী হাওয়া। এবার সেই কার্নিভ্যালের সমর্থনে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। এদিন তিনি দাবি করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালের কুৎসা করে বাস্তবে রাজ্যেরই বিরোধিতা করছে। রাজ্য সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জেরেই কিন্তু দেশের গৌরব বাড়ছে বলেই মনে করেন তিনি।
এদিন দেবাংশু বলেন, ‘এই কার্নিভ্যালের কারণেই আমরা ইউনেসক-র স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুজো হচ্ছে। কিন্তু, এখনই স্বীকৃতি মিলল। কেন? কারণ, যে কোনও উৎসবেরও আন্তর্জাতিক স্তরে মার্কেটিংটা খুব দরকার। বাংলায় ৩৪ বছর ধরে যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল, তারা এই উৎসব নিয়ে মার্কেটিং করার প্রয়োজনই মনে করেনি। পুজোর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিলনা তাদের। শুধুমাত্র পুজোয় গণশক্তির স্টল দিতে ব্যস্ত থাকত। এছাড়া পুজোর সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না তাদের। কোন পুজো অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কোন পুজোয় ইলেকট্রিসিটি সহায়তা দরকার, কোন পুজোয় সরকারি সাহায্য দরকার, সে সব সিপিএম কোনওদিনই দেখত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার দু’ বছর পর থেকেই এই কার্নিভ্যাল শুরু হয়। আন্তর্জাতিক সমস্ত সংবাদমাধ্যমে এই কার্নিভ্যাল দেখানো হয়। এমনকী ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ -এর সময় তাদের ওয়েবসাইটেও এই উৎসবের ঝলক দেখানো হয়েছিল।’ দেবাংশু মনে করেন, ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবকটি দেশে এই বার্তা গিয়েছে যে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে এই ধরণের একটি উৎসব হয়।
কার্নিভ্যালের জন্য রেড রোড থেকে SSC চাকরিপ্রার্থীদের উঠে যেতে বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেবাংশু জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার একটা বিষয় থাকে। তাই পুলিশ আন্দোলনরতদের একদিনের জন্য সরে যেতে বলেছে। চাকরিপ্রার্থীরাও কিন্তু সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। মাথায় রাখতে হবে, এই রাজ্যে প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়া হয় না। তবে উত্তরপ্রদেশ, সিংঘু বর্ডারে আন্দোলনকারীদের গাড়ি দিয়ে পিষে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে একসময় সিপিআইএম সরকার প্রতিবাদীদের গুলি করে মেরেছে। এখন বাংলায় সেসব হয় না।’