রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার সৌরভ! বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের, পাল্টা দিল BJP

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েই কি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়ে গেল? নানান রকম সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে ঠিকই, কিন্তু এই শেষ কারণটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বিজেপির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে তাল মিলিয়ে না চলেই কি এমন আচমকা তাকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?

এই জল্পনা এবার উসকে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। মমতা ব্যানার্জির রাজ্যের মানুষ বলেই এমন আচরণ করা হচ্ছে সৌরভের সাথে, এমনটা বলতে দুবার ভাবেননি তিনি। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার আরও এক উদাহরণ হল সৌরভে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। অমিত শাহর ছেলে বোর্ডের সচিব পদে থেকে যাচ্ছে কিন্তু সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে! মমতা ব্যানার্জির রাজ্যের মানুষ আর বিজেপি যোগ দেননি সেই কারণেই কি এমনটা করা হলো?” তার এই বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৃণমূলের কুনাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “কি করে বিজেপির আরেক মন্ত্রীপুত্র বিসিসিআইয়ের নিজের পথ ধরে রাখছেন আর সৌরভের মতো ক্রিকেটার সরে যাচ্ছে! এসব ঘটছে প্রশ্ন ওঠা তো স্বাভাবিক।

সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, “যদি সৌরভ রাজনীতির শিকার হয়ে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে বিতাড়িত হন, তাহলে আমি সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে চাই সৌরভ আইসিসিতে যাক। খেলা ও রাজনীতি এক জায়গায় নিয়ে আচ্ছা আমার একেবারেই পছন্দ নয়।” তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সব জায়গায় তারা রাজনীতি দেখেন তাদের আর নতুন করে কিছু বলার নেই। একদিন উনাকেও মুখপাত্রের পথ থেকে সরে যেতে হবে, তখন আশা করি তিনি রাজনীতিকে দোষ দেবেন না।” জয়ের সাহস কি করে নিজের পথ ধরে রাখছেন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন কোথাও লেখা নেই যে একসঙ্গে দুজনকে সরে যেতে হবে।

সৌরভের পরে ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসতে চলা রজার বিনি এখন ৬৭ বছর বয়সী। দেশের জার্সিতে তিনি ২৭টি টেস্ট খেলে ৪৭টি উইকেট নিয়েছেন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে তিনি আটটি ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৮ টি উইকেট। শুধু ভারতীয় দলের না, ওই বিশ্বকাপে সমস্ত দলের মধ্যেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন তিনি। আপাতত সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে বিসিসিআই, সেখানে প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন বিনির নাম। রাজীব শুক্লা থাকছেন সহ-সভাপতি হিসেবে। জয় শাহই ফের হবেন সচিব। দেবোজিৎ সাইকিয়া হবেন যুগ্ম সচিব।

তৃণমূল সাংসদ এমন দাবি করলেও সৌরভকে কেন বিসিসিআই সভাপতি করা হচ্ছে না সেই বিষয়ে আরও একটা কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে সৌরভ আগামী আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়তে পারেন। সেই সম্ভাবনা অবশ্য অনেকদিন আগের থেকেই ছিল। মনে করা হয়েছিল যে সৌরভ যখন আইসিসি সভাপতি পদের জন্য লড়বেন তখন বোর্ড সভাপতি পদে উঠে আসবেন জয় শাহ। কিন্তু তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর