বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদানি গ্রুপের জন্য এক সুসংবাদ। এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি ডেটা নেটওয়ার্ক লিমিটেড ( এডিএনএল) টেলিকম পরিষেবার জন্য একটি ইউনিফায়েড লাইসেন্স পেয়েছে। অর্থাৎ এই কোম্পানি এখন থেকে দেশের সব টেলিকম পরিষেবা দিতে সক্ষম। সম্প্রতি দেশের অনুষ্ঠিত 5জি স্পেক্ট্রাম নিলামে স্পেক্ট্রাম কেনার পর আদানি গ্রুপ টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করেছে।
টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করার সময়েই আদানি গ্রুপের তরফে বলা হয়েছিল যে, তারা ডেটা সেন্টারগুলির সাথে বিভিন্ন অ্যাপসের জন্য এয়ারওয়েভ ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিতরণ থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যন্ত অল্প গ্যাসের বিক্রির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়তা মিলবে বলেই জানা গিয়েছে।
পিটিআই এর মতে, এই বিষয়টি সম্পর্কিত দুটি তথ্য সরকারি তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আদানি ডাটা নেটওয়ার্ককে UL (AS) দেওয়া হয়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার আদানি নেটওয়ার্ককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এবার মুকেশ আম্বানির সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নামলেন গৌতম?
গৌতম এবং আদানি এই দুই শিল্পপতিই আসলে গুজরাট থেকে এসেছেন। এখনো পর্যন্ত উভয় গ্রুপে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে এসেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনদিনই কোনও প্রতিযোগিতা নেই। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ তেল শোধনাগার এবং পেট্রো কেমিক্যাল থেকে টেলিকম এবং খুচরো সেক্টরে কাজ করেন।
অন্যদিকে আদানি গ্রুপ বন্দর, কয়লা, বিদ্যুৎ বিতরণ এবং বিমান চলাচলের খাতে রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যখন আদানি গ্রুপ পেট্রোকেমিক্যাল সেক্টরে প্রবেশ করেছে তখন রিলায়েন্স গ্রুপও সবুজ শক্তি সেক্টরে পদার্পণ করেছে। বর্তমানে আদানি এবং রিলায়েন্স গ্রুপের টেলিকম সেক্টরে দেখা যাবে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
প্রসঙ্গত আদানি গ্রুপ সম্প্রতি 5জি স্পেক্ট্রাম নিলামের সময় 212 কোটি টাকায় কুড়ি বছরের জন্য 400 MHz স্পেক্ট্রাম কিনেছেন। যেখানে মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন সংস্থা রিলায়েন্স জিও ইনফোকোম 88,078 কোটি টাকা খরচ করে 5জি স্পেক্ট্রাম কেনার দৌড়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।