বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কলকাতা লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। আজ দীর্ঘদিন পরে মরশুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তারা। নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলী স্টেডিয়ামে এরিয়ানের মুখোমুখি হয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। রাজদীপ নন্দীর দলের বিরুদ্ধে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল জয় পাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন সমর্থকরা। আইএসএলে টানা দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখে হতাশ লাল-হলুদ ভক্তরা। তাই কলকাতা লিগের তাদের রিজার্ভ দল কেমন পারফরম্যান্স করে সেদিকে সকলেরই নজর ছিল।
কিন্তু সমর্থকরা যেমনটা ভেবেছিলেন তেমনটাই হলো না। প্রথমার্ধে যে জেসিন টিকে-র গোলে এগিয়ে গিয়েও পয়েন্ট হাতছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফিরিয়েছিল এরিয়ান এবং তারপর অনেক চেষ্টা করেও ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল আজ গোলের মুখ খুলতে পারেনি। অথচ আজ বেশ শক্তিশালী একাদশ মাঠে নামিয়েছিলেন বিনো জর্জ। পিএসএল স্কোয়াট থেকে অঙ্কিত মুখার্জি, অমরনাথ সিং খৈয়াম, অনিকেত যাদব, আঙ্গুসানা, সেমবয় হাওকিপের মত ফুটবলাররা দলে উপস্থিত ছিল। তা সত্ত্বেও এরিয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ১-১ ফলে ড্র করল তারা।
দলকে জেতাতে না পারলেও গোল করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন জেসিন টিকে। ম্যাচের উদীয়মান প্রতিভার পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন এরিয়ানের গোলদাতা অমরনাথ বাস্কে। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের ফুলে যখন তিনি গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তখন উৎসাহে ও আনন্দে জার্সি খুলে উদযাপন করেন তিনি। ম্যাচের পর যখন তার হাতে পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের প্রাইজ মানি তুলে দেওয়া হচ্ছিল তখন উজ্জল মুখে তিনি বলেন, “কোনও বড় দলের বিরুদ্ধে এটাই আমার প্রথম ম্যাচ এবং প্রথম গোল। আমরা এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বেশি সময় পাইনি আচমকাই জানতে পেরেছিলাম যে আজকে আমাদের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে। দলের হয়ে বাকি মরশুমেও ভালো খেলতে চাই এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করতে চাই।”
স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের এই ফলাফলে হতাশ ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা। আইএসএলে দুটি ম্যাচ থেকে ইতিমধ্যে বুঝে যাওয়া গেছে যে এই মরশুমেও খুব বেশি প্রত্যাশা রেখে লাভ নেই। কলকাতা লীগে যদি ভালো কিছু করা যায় সেই আশায় বুক বাঁধে ছিলেন সর্মথকরা। কিন্তু অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন যে এই বছর কোন টুর্নামেন্টেই খুব ভালো কোন ফলাফলের প্রত্যাশা করে লাভ নেই তাতে বরং বেশি হতাশই হতে হবে।
আজকের এই ম্যাচের পর কিছুটা স্বস্তিতে এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা। কলকাতা লিগে না খেলার অজুহাত হিসেবে সবুজ-মেরুন কর্তারা জানিয়েছিলেন যে এফএসডিএলের নিয়ম অনুযায়ী আইএসএলের জন্য রেজিস্টার্ড প্লেয়ারদের অন্য লিগে থামানো যাবে না, আর তাদের হাতে রিজার্ভ দলও নেই। এই নিয়মের কারণেই কলকাতা লিগে নামা যাচ্ছে না বলে আইএফএ-র কাছে সাফাই গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু আজ ইস্টবেঙ্গল একাধিক আইএসএলে স্কোয়াডে থাকা ফুটবলারকে মাঠে নামালো। কাছেই মোহনবাগান কর্তাদের দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এরপরেও দল হিসেবে এটিকে মোহনবাগানকে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না আইএফএ-র তরফ থেকে সেই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন।