বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের পর বছর অগ্রসর হয়ে চলেছে। দুর্গাপূজো থেকে কালীপুজো সহ একাধিক উৎসব পেরিয়ে গেলেও মেলেনি চাকরি! একের পর এক প্রতিশ্রুতি মিললেও নিয়োগ পত্র মেলার কোনরকম আশা না দেখে অবশেষে গতকাল সল্টলেকের (Saltlake) করুণাময়ী মোড়ে এপিসি ভবনের সামনের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে টেট (Primary Tet) চাকরিপ্রার্থীরা। দুপুর পেরিয়ে সারা রাত ধরে চলে এই বিক্ষোভ। অবশেষে বিক্ষোভ পরিবর্তিত হয়ে আমরণ অনশনের রূপ নিতে চলেছে। এমনকি নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অনশনের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল থেকেই সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। এক্ষেত্রে তাদের কাতর আবেদন, ‘দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।’ পরবর্তীতে গোটা রাতভর চলে সেই আন্দোলন এবং বর্তমানে তা পরিবর্তিত হয়ে আমরণ অনশনের পথে অগ্রসর হতে চলেছে। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ পত্র যদি হাতে না মেলে, তবে আমরণ অনশন হবে।’ এক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও হার মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গতকাল সকল পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ দেখাতে পারেন, এহেন খবর সামনে উঠে আসতেই আঁটোসাঁটো করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার প্রার্থনা করা হলেও পুলিশের কোন কথাতেই কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারীরা। পরবর্তীতে দুপুর হতে সন্ধ্যা এবং রাতভর চলে সেই আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন তারা!
বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীদের মাঝে দাবি ওঠে, “২০১৭ সালে যারা টেট পরীক্ষার্থী ছিল, তাদের সঙ্গে যদি আমাদের প্রতিযোগিতা করা হয়, তাহলে পিছিয়ে যাব। বারংবার ইন্টারভিউ দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করব না। কারণ, সেই বিজ্ঞাপনে অসংখ্য ভুল রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গতকালের এই বিক্ষোভের জেরে এপিসি ভবন থেকে বের হতে পারেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালসহ আরো অনেকেই। এক্ষেত্রে পুলিশের তরফ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে একাধিকবার আবেদন করা হলেও তাদের পাল্টা দাবি, ‘আমাদের নিয়োগ চাই।’ আর এর মাঝেই আমরণ অনশনের ডাক মাঝে সরকার এবং প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকে তাকিয়ে বাংলা।