বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই মুহুর্তে দেশীয় রাজনীতি সরগরম। আসন্ন নির্বাচন দুটি রাজ্যে। একটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাট এবং অপরটি হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। গুজরাটে (Gujarat) বিজেপিকে (BJP) কোণঠাসা করতে অনেক আগেই আসরে নেমে পড়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। কোমর বেঁধে প্রচারও চালাচ্ছে তারা। মাঝেমধ্যেই দলের সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যাচ্ছেন গুজরাট সফরে। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসেও। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও প্রশান্ত কিশোরের (Prashanta Kishore) ভবিষ্যৎ বাণীর পাল্লা হেলে বিজেপির দিকেই।
আসন্ন গুজরাট নির্বাচনে আপ যতই লাফালাফি করুক না কেন বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই মনে করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এরই সঙ্গে কংগ্রেসের সমালোচনাতেও সরব হলেন পিকে। কংগ্রেসের চিন্তন শিবির ব্যর্থ। আখেরে কংগ্রেসের কোনও লাভ হয়নি, এমন মন্তব্যই করেছেন প্রশান্ত। টুইটারে ভোটকুশলী লেখেন, ‘চিন্তন শিবির নিয়ে আমায় বারবার প্রতিক্রিয়া দিতে বলা হচ্ছিল। আমার মতে, লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে এই শিবির।’ শুধু তাই নয়, গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের যে ভরাডুবি হবে, সে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন পিকে।
রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ মতোই বিহারে ‘জন সুরজ যাত্রা’ শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর এই যাত্রা ১৫ দিন অতিক্রান্ত করেছে। ইতিমধ্যে তিনি পশ্চিম চম্পারণে। সেখান থেকেই বলেছেন দুটি নির্বাচনেই গেরুয়া ঝর অব্যাহত থাকবে। আপ হিমাচলপ্রদেশে লড়াই করছে না। গুজরাটে লড়াই করলেও বিজেপির খুব বেশি ক্ষতি আপ করতে পারবে না বলেই মনে করছেন তিনি।
এরপরই পিকে তোপ দাগেন সরাসরি রাহুল গান্ধীর দিকে। তিনি বলেন আসন্ন নির্বাচন ছেড়ে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা খুবই হঠকারি সিদ্ধান্ত। কিছুদিন সামনে আসে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু অনেক আলাপ আলোচনার পরও ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। পিকে সমর্থন করেছেন এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা। এই সমীক্ষাতেও স্পষ্ট দুটি রাজ্যেই বিজেপির জয়।
আরও একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। সেই সমীক্ষা অনুসারে গুজরাটে বিজেপি পাবে ১২৫ থেকে ১৩১টি আসন। অপরদিকে হিমাচল প্রদেশে ৩৮ থেকে ৪২টি আসনে জয়লাভ করবে গেরুয়া শিবির। এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, গুজরাটে বিজেপি ভোট পাবে ৪৮ শতাংশ। অনেক পিছিয়ে থেকে কংগ্রেস ভোট পাবে মাত্র ২১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে কেজরিওয়ালের আপ। তারা ভোট পাবে ২৪ শতাংশ। এবং অন্যান্যদের ভোটের শতকরা হার ৭।