বাংলাহান্ট ডেস্ক: কোঁকড়া চুল, ঠোঁটকাটা, নির্ভীক মানসিকতা, কঙ্গনা রানাওয়াতকে (Kangana Ranaut) চেনাতে গেলে এই বৈশিষ্ট্যগুলো উঠে আসবেই। হিমাচল প্রদেশের এক মেয়ে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় বলিউডের মতো বিরাট ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু জায়গাই করেননি, প্রথম সারিতে উঠে এসেছেন। তিনি যখন সফর শুরু করেন তখন কেউ ভাবতেও পারেননি।
অত্যন্ত কম বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন কঙ্গনা। মুম্বইয়ে এসে রীতিমতো পরিশ্রম করে প্রথম ব্রেকটা পেয়েছিলেন তিনি। পড়েছিলেন বদসঙ্গেও। কিন্তু শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত কখনোই উচিত জবাব দিতে ছাড়েননি কঙ্গনা। বিনোদন থেকে রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশেও কটাক্ষ ছুঁড়েছেন। জড়িয়েছেন অগুন্তি বিতর্কে।
তবে গডফাদার ছাড়া বলিউডে পা রাখলেও হারিয়ে যাননি কঙ্গনা। বরং বেশ দ্রুত সাফল্য পেয়েছেন। অভিনেত্রী থেকে পরিচালক হয়ে প্রযোজকও হয়েছেন। কিন্তু তাঁর এত সাফল্য অনেকেই ভালভাবে নেননি। কঙ্গনা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগও উঠেছিল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত কিছু স্মৃতি শেয়ার করেন কঙ্গনা। তিনি জানান, ২০১৬ সালে এক নামী সংবাদ পত্রের সম্পাদিকা দাবি করেছিলেন যে তাঁর অনুসন্ধান তাঁকে নিশ্চিত প্রমাণ পাইয়ে দিয়েছে যে কঙ্গনা কালো জাদু করেন। শুধু তাই নয়, কঙ্গনা জানান, ওই সম্পাদিকা নাকি আরো দাবি করেছিলেন যে দিওয়ালিতে কঙ্গনা যে লাড্ডু উপহার পাঠান সবাইকে তার মধ্যে তাঁর ঋতুস্রাবের রক্ত মেশানো থাকে!
সঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ‘ওই দিনগুলো সত্যিই মজার ছিল। কেউ ভাবতেই পারেনি কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড, শিক্ষা, সহায়তা, এজেন্সি, বন্ধু বা প্রেমিক ছাড়া আমি কীভাবে এত উঁচুতে উঠে গেলাম। তাই সবাই মিলে একটাই উত্তর বের করল, কালো জাদু!’ কঙ্গনা আরো লেখেন, ‘সুপার পাওয়ার থাকলেই ডাইনি বলা হবে। আমাকেও বলা হয়েছিল, কিন্তু আমি ওদের আমাকে জ্বালাতে দিইনি। উলটে আমিই… হেহে আমি হয়তো সত্যিই একজন ডাইনি।’
উল্লেখ্য, এর আগে কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমনও তাঁর বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, অভিনেত্রী নাকি নিজের রজস্রাবের রক্ত পান করতে বাধ্য করেছিলেন তাঁকে। পালটা উত্তর দিয়েছিলেন কঙ্গনাও। তিনি বলেছিলেন, এ ধরণের কথা তাঁকে আর কষ্ট দেয় না। তবে এ ধরণের বিষয় নিয়ে কুকথা না ছড়ানোই ভাল।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!