ওঁরা আন্দোলনটা ভালো করতে পারে, প্রশংসার মাধ্যমেই বামেদের বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের (Saltlake TET Agitation) ছত্রভঙ্গ করতে মধ্যরাতে অভিযান চালায় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তোলা হয় গাড়িতে। ১৬ মিনিটের পুলিশি অভিযানে খালি করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বইছে রাজনৈতিক ঝড়। রাজ্য সরকারের এই আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছে রাজ্যের সব ক’টি বিরোধী দল। শুক্রবার শহরের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম।

এবার সিপিএম-এর প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছিল সিপিএম। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “বামেরা বিরোধিতাটা ভাল করতে পারে। তারা আন্দোলন করতে পারে কিন্তু সরকার চালাতে পারে না। উন্নয়ন করতে পারে না। তাই মানুষ তাদের বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে।” 

দিলীপ ঘোষ আরও যোগ করেন, “বামেরা আন্দোলন করবে সেটা দেখে মানুষের ধারণা হয়ে গিয়েছে, ওটাই ওদের ভাল কাজ। তাই বাংলার মানুষ তাদের এই কাজের বিরোধিতা করছেন। শাসক দলের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যে ধরনের অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে, যেভাবে তাঁদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সবাই তার বিরোধিতা করছে।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছিলেন। তারপর সেই মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আমরণ অনশনরত আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। 

আন্দোলনকারীরা পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ময়দানে নামেন বামেরা। শুক্রবার বেলা যত গড়িয়েছে, ততই উত্তপ্ত হয়েছে করুণাময়ী, সিটি সেন্টার চত্বর এবং শিয়ালদহ চত্বর। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করেন। তাঁদেরকেও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়।

পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বাম কর্মী সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই সিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জমায়েতের চেষ্টা করলে তাঁকে জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু পুলিশকে তিনি প্রশ্ন করেন, ঠিক কোন এলাকা পর্যন্ত জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এরপর তাঁকেও টেনে হিঁচড়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তিনি। বামেদের এই আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে করুণাময়ী চত্বর। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর