বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোর পরই ধুমধাম করে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেও একাধিক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তাঁদের উত্সাহ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ির কাউয়াখালিতে বেশ জাঁকজমক করে বিজয়া সম্মিলনী করেছেন তৃণমূল দলনেত্রী। এবার দলনেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে অন্য রাজ্যেও পৌঁছে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।
পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৫০০-র বেশি বিজয়া সম্মিলনী করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার গোয়াতেও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করল তৃণমূল। দলের কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি আগামী দিনে কীভাবে দল চলবে তাও তুলে ধরা হচ্ছে ওই বিজয়া সম্মিলনীতে। গোয়া বিধানসভা ভোটে চরম ধাক্কা খেয়েছে জোড়া ফুল শিবির। এবার সেখানে আরও একবার জনসংযোগে নেমে পড়ল ঘাসফুল শিবির। আপাতত চিকিৎসক ও মহিলাদের সঙ্গে চলছে পুজোর শুভেচ্ছা বিনিময়। ওই দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে।
এদিকে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিতর্কেরও শেষ নেই। গত ১৯ অক্টোবর শিলিগুড়ির কাউয়াখালি মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দুটি বিষয় রাজ্যে শোরগোল ফেলে দেয়। একটি হল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছে সিপিএম। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বিষয়টি হল মমতা তাঁর বক্তব্যে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে জোর সওয়াল করলেও অনুষ্ঠান শেষে অনন্ত মহারাজ দাবি করে বসেন কোচবিহার বাংলার বাইরে। এই দুই বিষয় নিয়েই সুর চড়ায় বিরোধীরা।
শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছে সিপিএম। আমরা বরং চাষীদের জমি ফেরত দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। বলছে, আমি টাটাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। আর টাটা এখন চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি। বরং সিপিএমরাই তাড়িয়েছে। পলিটিক্যাল কথা এখানে আমি বলতে চাই না। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই! কেন জোর করে জমি নেব? এত প্রজেক্ট তো আমরা করেছি, জোর করে তো জমি নিই নি! আমরা চাই সবাই বাংলায় বিনিয়োগ করুক। এখানে মানুষের চাকরি হোক।’