বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন আসন্ন আর তার পূর্বে বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে গুজরাট (Gujrat) বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে প্রত্যেকের। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে গুজরাটের বুকে ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party), আবার অপরদিকে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হতে চলেছেন আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লি এবং পঞ্জাবের পর অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত থেকে গুজরাট কি ছিনিয়ে নিতে পারবেন কেজরিওয়াল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বর্তমানে লেগে পড়েছে সকলে আর এর মাঝেই এবার গুজরাট নির্বাচন উপলক্ষে বড়সড় ঘোষণা করে বসলেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
‘গুজরাটে যদি তাঁর দল অর্থাৎ আম আদমি পার্টি সরকার গড়তে পারে, তাহলে পরিবার পিছু প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে সুবিধা প্রদান করা হবে’, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এহেন প্রতিশ্রুতি ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গুজরাটে।
কি বলেছেন কেজরিওয়াল? উল্লেখ্য, দিল্লি এবং পঞ্জাবের পর বর্তমানে গুজরাট রাজ্যে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসতে তৎপর আম আদমি পার্টি। এক্ষেত্রে গুজরাটে পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক জনসভা করে চলেছেন একাধিক আপ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল একটি জনসভা চলাকালীন গুজরাটবাসীদের উদ্দেশ্যে কেজরিওয়াল বলেন, “আগামী মার্চ মাস থেকে আপনাদের বিদ্যুতের বিল আর দিতে হবে না। ওটা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মেটানো হবে।”
একইসঙ্গে গুজরাটে আম আদমি পার্টি সরকার গড়লে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা বেকার ভাতা এবং মহিলাদের ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি শিক্ষা খাতে ১০০০০ টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ফলে সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে ৩০ হাজারে। আপ সুপ্রিমোর এহেন ঘোষণার পরেই তাঁর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস দল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপ প্রধানের প্রতিশ্রুতি মেটাতে হলে রাজ্য বাজেটের প্রায় ৯০% খরচ হবে। যদিও অপরদিকে বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে এ সকল প্রতিশ্রুতিকে কেজরিওয়ালের দ্বারা টাকার মাধ্যমে সরকার কিনে নেওয়ার চক্রান্ত বলেই পাল্টা কটাক্ষ করা হয়েছে।
যদিও এই প্রসঙ্গে খুব একটা পিছিয়ে নেই রাজ্যের ক্ষমতাশীল দল বিজেপিও। শাসকদলের ঘোষণা অনুযায়ী, তারা ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি পরিবারকে বছরে দুটি করে গ্যাস সিলিন্ডার ফ্রি-তে প্রদান করা হবে। ফলে সব মিলিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি মাঝে অবশেষে গুজরাটের মসনদে কে বসেন, সেটাই বর্তমানে সবচেয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।