মুকুব করতে হবে গোবিন্দভোগ চালের রফতানি শুল্ক! কৃষকদের স্বার্থে মোদির কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি মমতার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোবিন্দভোগ চালের (Gobindobhog rice) রফতানিতে শুল্ক মকুবের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে অনুরোধ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে তিনি আবেদন জানালেন, গোবিন্দভোগ চালের রফতানিতে যে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তা সম্পূর্ণ মকুব করা হোক। এই শুল্ক চাপানোর ফলে বিদেশে এই চাল রফতানিতে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে রাজ্য, যার ফলে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ছেন বাংলার কৃষক। তাই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে শুল্ক মকুবের আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এই চালের জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে, পুজোর সময় সুগন্ধী এই চাল প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম চাল এটি। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় এবং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইনের মতো উপকূলীয় দেশগুলিতে গোবিন্দভোগ চালের বিরাট চাহিদা রয়েছে। সেই কারণেই রাজ্যের পক্ষ থেকে কৃষকদের এই চাল চাষের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিঠিতে আরও লেখেন, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে গোবিন্দভোগ চাল। এই চালের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানেন প্রতিটি মানুষই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শুল্ক যদি মকুব না করা হয় তাহলে বিপদে পড়বেন সাধারণ কৃষকরাই। অন্যান্য চালের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-এর থেকে এটি অনেক বেশি দামি।

মমতা নিজের চিঠি জুড়ে শুধু কৃষকদের সমস্যার কথাই উল্লেখ করেছেন। তিনি চিঠিতে আরও জানান, এই শুল্কের জন্য কৃষকরা বর্তমানে পথে বসে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে গোবিন্দভোগ চালের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যার জেরে হাত পড়েছে কৃষকদের মাথায়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, বাঁশমতি চালের ক্ষেত্রে যদি শুল্ক মকুব করা হয়, তাহলে গোবিন্দ ভোগ চালের ক্ষেত্রে তা করা হবে না কেন? প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাই তিনি আবেদন জানালেন শুল্ক মুকুবের। তবে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর