বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) আপত্তিতেকে কানেই তুলল না চিন (China)। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’-এ দ্রুত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সবুজ সংকেত দিয়ে দিল বেজিং। বুধবার পাকিস্তানের (Pakustan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে মূলত এই প্রকল্প নিয়েই আলোচনা হয় বলে আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।
২০১৩ সালে পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয় চিন। তখনই প্রস্তাবিত হয় ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (CPEC) প্রকল্প। ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি একটি সড়ক গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই আপত্তি জানায় ভারত। এই পদক্ষেপ দেশের সর্বভৌমত্বে আঘাত বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চিনের সঙ্গে সিপিইসি নিয়ে ‘ইনডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’ নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুধু তাই নয়, চিন এই প্রকল্পে আফগানিস্তান এবং তুরস্ককেও যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর।
এদিকে এই বিষয়টি আগে থেকে বুঝতে পেরে মঙ্গলবারই ‘শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন‘ (SCO) গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সরব হন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেন, ‘যে কোনও পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির মনে রাখা উচিত, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে যেন আঘাত না লাগে।’ এই মন্তব্যের নিশানা যে বেজিং এবং ইসলামাবাদ তা পরিস্কার।
ভারতের প্রবল বিরোধিতা সত্বেও সিপিইসি প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন (China)। তবে এই প্রকল্পে খরচ হবে বিপুল পরিমাণ টাকা। ফলে ধীরে ধীরে বেজিংয়ের ঋণের বোঝায় চাপা পড়ে যাবে ইসলামাবাদ। এমনই মত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। আর সেই আশঙ্কা যে একেবারে ভুল নয় তার প্রমাণও পাওয়া গেছে বহুবার। গতবছর একটি রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করতে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে রীতিমতো বোকা বানাচ্ছে ড্রাগন।