বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে সহজে পৌঁছনোর লক্ষ্যে এবার ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) তার সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় আরও জোর দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে রেল নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার জন্য, ভারতীয় রেল অরুণাচল প্রদেশে চিনের সীমান্ত পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যের রাজধানীগুলিকে সংযুক্ত করার পাশাপাশি পড়শি দেশ ভুটানকেও রেলপথের সাহায্যে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই সম্প্রসারণ পরিকল্পনাগুলির অধীনে, অরুণাচল প্রদেশে নতুন রেল প্রকল্পগুলির জন্য চূড়ান্ত অবস্থানের সমীক্ষা পুরোদমে শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) সব্যসাচী দে এই প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান যে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোন অরুণাচল প্রদেশ সহ উত্তর পূর্ব অঞ্চলে আরও কিছু নতুন রেল প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় রেল চিন সীমান্ত বরাবর ভালুকপং থেকে তাওয়াং এবং সিলাপাথার থেকে আলং ভায়া বামে পর্যন্ত একটি নতুন রেললাইন নির্মাণ ও মুরকংসেলেক থেকে পাসিঘাট পর্যন্ত রেললাইন প্রসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মূলত, চিনের সঙ্গে সীমান্তে চলা বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই রেললাইনের কৌশলগত গুরুত্ব থাকবে। এছাড়া, এই রেললাইন অল্প সময়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকাকে সংযুক্ত করবে। তিনি আরও জানান, এগুলি ছাড়াও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোন লঙ্কা থেকে আসামের চন্দ্রনাথপুর পর্যন্ত একটি দ্বিতীয় রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনাও শুরু করেছে। যা আসামের দিমা হাসাও জেলার পাহাড়ি অংশে একটি বাইপাস হিসেবে থাকবে।
এছাড়াও, সব্যসাচী দে জানান, “আমাদের পরিকল্পনা হল প্রতিবেশী দেশ ভুটান পর্যন্ত রেললাইন নিয়ে যাওয়া। আমরা রেলপথের মাধ্যমে ভুটানকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং কোকরাঝার (আসাম) থেকে ভুটানের গেলফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন হবে। এই নতুন রেললাইনটি প্রায় ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।”
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে, দিমা হাসাও-এর কিছু অংশে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায়, সেইসব রেললাইন মেরামতের কাজও চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই চলছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন রেললাইন নির্মাণ, ডাবল লাইনের কাজ, স্টেশন উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও। এই প্রকল্পগুলি মোট ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের সাথে সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।