তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ! পাঁচবার কান ধরে উঠবস করিয়েই শাস্তি মুকুব পঞ্চায়েতের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চকোলেটের দেখিয়ে ডাকা হয় নির্জন জায়গায়। তারপর করা হয় ধর্ষন। এরপর গোটা গ্রামেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। বিচারের জন্য বসানো হল পঞ্চায়েত। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে সালিশি সভা। বিচারে অভিযুক্তর জন্য ধার্য করা হয় শাস্তিও। ধর্ষণের অপরাধে তাঁর শাস্তি- পাঁচবার কান ধরে ওঠ-বস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) নওদা জেলায়। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল। পঞ্চায়েতের এই শাস্তি ঘিরেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিহারের নওদা জেলার কনৌজ গ্রামে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এক ব্যক্তি। চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি পোলট্রি ফার্মে নিয়ে যায় অভিযুক্ত এবং সেখানেই ধর্ষণ করে। বাড়িতে যাতে ধর্ষণের কথা না জানায়, তা নিয়ে ভয়ও দেখায় অভিযুক্ত। কিন্তু বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসে।

এরপরই গোটা গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতিতার মা-বাবা পুলিসে যাওয়ার কথা বললেও, গ্রামবাসীরাই বদনামির ভয় দেখিয়ে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করতে বারণ করে। তার বদলে বসানো হয় পঞ্চায়েতের সালিশি সভা। সেখানে ঘণ্টাখানেক ধরে বিচার চলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচবার কান ধরে ওঠ-বসের শাস্তি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত মাথা পেতে সেই শাস্তি মেনেও নেয়।

এদিকে, অভিযুক্তের কান ধরে উঠবোসের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তেলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিতর্ক তৈরি হতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণ করেনি। তাঁকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার অপরাধেই পাঁচবার কান ধরে ওঠ-বস করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

জেলার এসপি গৌরব মঙ্গলা জানান, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। পঞ্চায়েতের সদস্য, যারা বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিস।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর