বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী( Narendra Modi) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট(Russian President ) ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সম্পর্ক যে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ তা কারও অজানা নয়। এবার এই দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল রাশিয়া।
‘আপনারা পাঠান, আমরা কিনব, ভারতকে প্রায় ৫০০টি পণ্যের বিষয়ে রীতিমতো তালিকা পাঠাল রাশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, বিমান থেকে শুরু করে ট্রেনের যন্ত্রাংশের মতো বহু পণ্যের নাম। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রেক্ষিতে পশ্চিমী দেশগুলি বলতে গেলে রাশিয়া থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির দিকে চেয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০০ টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হলেও সেই তালিকাটি অবশ্য ‘প্রাথমিক’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। মোট কতগুলি পণ্য রপ্তানি করা হবে এবং ঠিক কী পরিমাণে রপ্তানি করা হবে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। তবে মস্কোর এক বাণিজ্য সূত্রে খবর, রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের বড় বড় সংস্থাগুলিকে তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে ।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি। অর্থাৎ, রাশিয়া থেকে যত পণ্য ভারত আমদানি করে, তার তুলনায় ভারত থেকে রাশিয়ায় অনেক কম পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তাই, ভারত আপাতত যে কোনও পন্থায় রাশিয়ার সঙ্গে এই বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়াতে যথেষ্ট আগ্রহী বলে সূত্রের খবর।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর গত ৭ নভেম্বর থেকে মস্কো সফরে যান। তার কয়েক সপ্তাহ পূর্বেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার তরফে ভারতকে প্রায় ১৪ পৃষ্ঠা লম্বা একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই তালিকায় তালিকায় কাগজ, কাগজের ব্যাগ এবং প্যাকেজিং মেটিরিয়াল, সুতো-সহ টেক্সটাইল উৎপাদন করার উপকরণ এবং সরঞ্জাম, পিস্টন, তেলের পাম্প এবং ইগনিশন কয়েলের মতো গাড়ির ইঞ্জিনের অংশের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও বাম্পার, সিটবেল্ট এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে অত্যাধিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লিপ্ত হলে অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে দুই দেশের বিদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তরফে আপাতত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।