বাংলাহান্ট ডেস্ক : দ্রুত বদলাচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হয়েছে সুগভীর নিম্নচাপের। আগামী তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের এই নিম্নচাপ থেকে একটি ঘূর্ণাবর্তও সৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে মৌসুমের স্বাভাবিক নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত নভেম্বর মাসে শক্তিশালী হয় উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু। আর এই মৌসুমি বায়ুর জেরেই অক্টোবর নভেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় তামিলনাড়ু উপকূলে। একে বলা হয় প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু। তবে এই পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। অক্টোবর নভেম্বরে দেখা যায়নি উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। কিছুটা দেরি করে এই বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডিসেম্বর মাসে। আর যার প্রভাবেই পন্ডিচেরি এবং তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী প্রায় ৭ টা জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অপরদিকে, বায়ুদূষণে জেরবার দিল্লির মানুষ। রাজধানীর মানুষজন বাধ্য হচ্ছে ক্ষতিকর বায়ুতে নিশ্বাস নিতে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল দিল্লির বাতাসে দূষণের মান আরও বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গতকাল আলোচনাতেও বসেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে সেই আলোচনায় ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রশাসনিক স্তর থেকে সমস্ত সংস্থাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে আরও বেশি সচেতন হওয়ার। জানা যাচ্ছে, ৩ টি ভাগে ভাগ করে কাজ করা হব। পর্যায় ১ এবং পর্যায় ২, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পর্যায় ৩। এই ধাপে। ৩য় পর্যায়ে বিভিন্ন শিল্প যেমন, পাথর ভাঙা, ইঁট তৈরি, খনিজ দ্রব্য উত্তোলন ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে বলে জানা যাচ্ছে।