ভারতের শেষ রেল স্টেশন, যেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় বিদেশ! পা পড়েছে নেতাজি, গান্ধীরও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিদেশ ভ্রমণের কথা উঠলে প্রথমেই মাথায় আসে বিমানের কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমাদের দেশে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখান থেকে পায়ে হেঁটেই বিদেশ চলে যাওয়া যাবে। সীমান্ত অঞ্চলে গেলেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে চলে যাওয়া যাবে একেবারে পায়ে হেঁটে। এর মধ্যে কিছু দেশে যেতে পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজন রয়েছে। আবার কিছু দেশে এর কোনওটারই দরকার নেই।

নেপালের যেমন তিন দিকে ভারত অবস্থান করে। ট্রেনে (Indian Railways) করে নেপাল যেতে হলে বিহারের আরাইয়া জেলার যোগবানী স্টেশনে নামতে হবে। তারপর পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে নেপালে। তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও এমন কতগুলি স্টেশন রয়েছে যেখান থেকে পায়ে হেঁটেই বাংলাদেশে যাওয়া সম্ভব। এমনই একটি স্টেশন হল সিঙ্গাবাদ। 

singhabad

মালদহের হাবিবপুর অঞ্চলে এই স্টেশনটি অবস্থিত। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত সাধারণ ছাপোষা দেখতে হলেও এটিই পূর্ব দিকে ভারতের শেষ সীমান্তবর্তী রেল স্টেশন। উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী স্টেশন হলেও আজও আগের মতোই সাদামাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্টেশনটি। এখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশ সীমান্ত। এখানকার মানুষ প্রায়ই পায়ে হেঁটেই বাংলাদেশ চলে যান। যদিও এই স্টেশনটি খুব বেশি পরিচিত নয়। 

সিঙ্গাবাদ স্টেশন মূলত ব্যবহার করা হয় মালগাড়ির জন্য। এছাড়াও দু’টি যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস এই স্টেশনের উপর দিয়ে চলে। তবে যাত্রীবাহী কোনও ট্রেনই এখানে দাঁড়ায় না। স্বাধীনতার পর দেশভাগের সময় থেকেই এই স্টেশনটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেলের তরফে এটিকে পরিত্যক্ত করে দেওয়া হয়। তারপর বহু বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর ১৯৭৮ সাল থেকে ফের মালবাহী ট্রেন যাতায়াত শুরু করে এখান দিয়ে। 

singhabad

এই স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের। দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকার ফলে এর সংস্কার করা হয়নি। জানলে অবাক হবেন, আজও একই রকম ভাবে পড়ে রয়েছে সিঙ্গাবাদ স্টেশন। যাত্রীবাহী ট্রেন না থাকায় টিকিট কাউন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিগন্যালের জন্য আজও ব্রিটিশ জমানার ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। নামমাত্র কয়েকজন রেলকর্মী এখানে রয়েছেন। এখানে শুধুমাত্র রোহনপুর হয়ে বাংলাদেশগামী মালগাড়িগুলিই থামে সিগন্যাল না পেলে। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর