বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচারের মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক মাস আগে। এখন আপাতত শ্রীঘরই ঠিকানা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই অবস্থায় নতুন করে তদন্ত শুরু করলেন ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলের সুপারিশে কতজন স্কুল ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পেয়েছেন সেটা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করল ইডি। শুধু তাই নয় তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কেষ্ট কোনও অর্থ লেনদেন করেছেন কিনা তাও খুঁটিয়ে দেখবে ইডি।
ইডি সূত্রের খবর, মেধা তালিকায় নাম নেই, অথচ চাকরি পেয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন প্রার্থীর তালিকা ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। আবার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, প্রত্যেক জেলা থেকেই প্রার্থীদের নামের তালিকা আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সেই তালিকায় নাম ছিল বীরভূম জেলারও। এই তালিকাই এবার খু্ঁটিয়ে দেখতে চাইছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সুপারিশ ছাড়া এই তালিকা তৈরি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হত না। তাঁর সুপারিশ করা প্রার্থীরা সকলেই স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। মেধা তালিকায় তাঁদের নামই ছিল না। স্কুলে গ্রুপ–সি ও গ্রুপ–ডি পদে অনেকেই বীরভূম জেলার সভাপতির হাত ধরে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্য আর কোন কোন সরকারি দফতরে নিয়োগে জন্য কেষ্ট প্রভাব খাটিয়েছেন তাও খুঁটিয়ে দেখবে ইডি।
শুধু তাই নয়৷ এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এখনও বীরভূম, বর্ধমান–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চাকরি করছেন। এঁদের চাকরির ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছেন অনুব্রত। এমনই দাবি ইডির। শুধুমাত্র সরকারি দফতরেই নয়, বীরভূমের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক–সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নিজের পছন্দের লোককে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। এই সবই এবার আসতে চলেছে ইডির আতস কাচের তলায়।