বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। হাতে গোনা কিছুদিনের অপেক্ষা মাত্র। ইতিমধ্যেই জোর কদমে ভোট প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে বঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে ভোট যতই সামনে আসছে ততই রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ভয়ের বাতাবরণ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। এবার এরই মাঝে ফের আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ (Firearms and Fresh Cartridges) গ্রেফতার লাউহাটির এক বিজেপি কর্মী ((BJP Worker)।
সূত্রের খবর, ধৃতের নাম শাহাবুদ্দিন। লাউহাটি মোবারকপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত্রিতে নিজ বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক অভিযোগ।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর রায়। সেই সময় তাঁর হয়ে সক্রিয় ভাবে প্রচার করতে দেখা যায় এই ধৃত শাহাবুদ্দিনকে। অন্যদিকে, শাহাবুদ্দিনকে চিনতে অস্বীকার করে বিজেপি নেতা ভাস্কর রায় জানিয়েছেন,“উনি একসময় আইএসএফ করতেন। ভোটের সময় আমার কাছে এসেছিল। তবে আমি ওনাকে নিইনি।” এ বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমার বিষয়টি পুরো জানা নেই। তবে যদি ধরে নেওয়া যায় যে ওই ব্যক্তি বিধানসভায় বিজেপির হয়ে কারোর সঙ্গে কাজ করেছিল তাহলে এটা থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না।” পাশাপাশি পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মধুমোল্লা বলেন, “ওকে বারবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বেরিয়ে এসে অশান্তি করছে। একসময় আমায় মেরেছিল চপার দিয়ে। আমার তিনখানা গাড়ি ভেঙে দিয়েছিল। শুধু আমায় না আমার দলের অন্য সদস্যদেরও মেরেছিল। ভেড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল।”
জানা গিয়েছে, শাহবুদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মধু মোল্লাকে ও তৃণমূল কর্মী জয়নাল আবেদিনকে মারধরের পূর্ব অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আলমগীর মোল্লার ভেরিতে আগুন লাগানো-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।