বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন যাবৎ বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালের অশান্তি। ছাত্র আন্দোলন-সহ একাধিক কারণে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে স্বনামধন্য এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার ফের একবার বিক্ষোভের দরুন অশান্ত বিশ্ববিদ্যালের ক্যাম্পাস। উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলননের জেরে বরখাস্ত বিশ্বভারতীর ৬ পড়ুয়া (Students) সহ ১ অধ্যাপক (Professor)।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল এই বিক্ষোভ মিছিল। নিজেদের একাধিক দাবিতে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। এরপরই শুরু হয় বচসা। এমনকি সেই আন্দোলন গিয়ে পৌঁছায় হাতাহাতি পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের হাতাহাতির জেরে শুক্রবার ৬ ছাত্র সহ ১ অধ্যাপককে পরবর্তী এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেইমতই জারি করা হয়েছে নোটিসও।
নোটিসে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ-হাতাহাতির জেরে আগামী এক বছরের জন্য বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকেও। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৩ তারিখ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীরা। মাঝ রাত পর্যন্ত চলে সেই বিক্ষোভ। এরপরই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা মামলায় নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না চলবে না। তারপরও এদিন বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
এ বিষয়ে কী জানাচ্ছে সাসপেন্ডরত পড়ুয়ারা? তাঁদের বক্তব্য, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁর ক্ষোভের কারণ হতে হয় পড়ুয়াদের। এই একই অভিযোগ এনেছেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যও। পাশাপাশি আন্দোলনকারী এক পড়ুয়া জানান, “বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা তাঁকে ঘেরাও করেছিলাম। তাঁর এই মনোভাব পুনরায় প্রকাশ্যে এল। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললেই ঠিক আগে যেমন সাসপেন্ড বা শোকজ করা হত, এ বারও তেমনই ছাত্রদের সাসপেন্ড করা হল।”