বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুম্বইয়ের বান্দ্রা ও ওরলির মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছে বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্ক সেতু। এ বার আরও একটি সি লিঙ্ক (New Sea Link) চালু হতে চলেছে মুম্বইতে। এটি চালু হবে মুম্বই থেকে নবি-মুম্বই অবধি। বর্তমানে মুম্বই থেকে নবি-মুম্বই যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। এই সেতু চালু হলে এই সময় কমে হবে ১৫ মিনিট। চলতি বছরের শেষেই এটি উদ্বোধন করার কথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের।
জানা গিয়েছে, মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক (Mumbai Trans Harbour Link) জনসাধারণের জন্য আগামী নভেম্বরে খুলে যাবে। ২২ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু দক্ষিণ মুম্বই থেকে নবি-মুম্বই ও রায়গড় অবধি বিস্তৃত হবে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, “এই মুহূর্তে মুম্বই থেকে নবি-মুম্বই যেতে লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। কিন্তু এই যাত্রার সময় কমে ১৫ মিনিট হয়ে যেতে চলেছে। নতুন এই সেতুতে থাকছে একগুচ্ছ বিশেষত্ব। প্রথমত, এই সেতু ভারতের সবচেয়ে লম্বা সি লিঙ্ক হতে চলেছে।
এছাড়াও এই সেতুতে ওপেন রোড টোলিং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরের মতো দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রযুক্তি থাকার ফলে একটি গাড়িকে টোল দেওয়ার জন্য দাঁড়াতে হয় না। ফলে সময় বাঁচে অনেকটাই। মোট ২২ কিলোমিটার লম্বা এই সেতুর ১৬.৫ কিলোমিটার থাকবে সমুদ্রের উপর। একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, এই সেতুতে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি খুলে গেলে মহারাষ্ট্র তথা দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
মুম্বইতে একটি আট লেনের উপকূলবর্তী হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি মেরিন ড্রাইভ থেকে বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্কের ওরলি অবধি হচ্ছে। এই নতুন সি লিঙ্কটি এই হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত হবে ভবিষ্যতে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সেতু হওয়ার ফলে অনেক জ্বালানি বাঁচবে সাধারণ মানুষের। এছাড়াও বায়ুদূষণও কম হবে। একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বৃহন্মুম্বই পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। এছড়াও তাঁর অভিযোগ, এত বছরে তেমন কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি শহরে।
ট্রান্স হারবার লিঙ্ক নিয়ে মেট্রোপলিটান কমিশনার ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এসভিআর শ্রীনিবাস বলেন, “এটি ভারতের দীর্ঘতম সামুদ্রিক সেতু। পাশাপাশি এটিই প্রথম সেতু যেখানে ওএসডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এটি নির্মাণের সময় প্রকৃতির খেয়ালও রাখা হয়েছিল। ফলে পেলিকান ও ফ্ল্যামিঙ্গোর মতো পাখি এখানে এসেছে।” এছড়াও তিনি জানান, এই সেতু তৈরিতে ব্যবহৃত কেবল যোগ করলে গোটা পৃথিবীর এক চক্কর যেতে পারে। তিনি আরও জানান, এই সেতুর ৯০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বার শুধু জরুরির কয়েকটি পরীক্ষা করে জনসাধারণের জন্য এটি খোলার অপেক্ষা।