বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ অর্থাৎ ২১শে জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, আইএসএফ-এর (ISF) কর্মী এবং নেতৃবৃন্দের একটি জমায়েত ছিল ধর্মতলায় (Esplanade)। অন্যদিকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) চেষ্টা ছিল যতটা পারা যায় এই সভা পণ্ড করার। ব্যাস, এর জেরেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয়ে যায় চরম অশান্তি এবং বচসা। এই অশান্তির জেরেই যেসব আইএসএফ কর্মীরা রানী রাসমণি রোডে উপস্থিত ছিলেন।
যারা সভায় যোগ দিতে আসছিলেন তাঁরা ধর্নায় নামেন এবং দাবী করতে থাকেন যে, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেপ্তার করতে হবে। এই ধর্না এবং দুই দলের মধ্যে মারামারি এতটাই বেশী দূর এগোয় যে তাঁদের শান্ত করতে রাস্তায় নামে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ তাঁদের নির্দেশ দেন ধর্না তুলে নিতে এবং নিজেদের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি মিটিয়ে নিতে।
কিন্তু তাঁরা সেই কথা তো শোনা দূরে থাক, পুলিশের সাথেই তাঁরা প্রায় মারামারির পর্যায় পৌঁছে যান। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা ইঁট, পাথর ছুড়তে থাকেন এবং এর ফলে পুলিশের সাথে শুরু হয়ে যায় তাঁদের হাতাহাতি, পুলিশ তাঁদের লাঠিচার্জ করতেও বাধ্য হন। এবং পুলিশ যখন তাঁদের সামাল দিতে ব্যর্থ হন, নামানো হয় ৱ্যাফ। এতেও যখন আইএসএফ-এর কর্মীরা ক্ষান্ত হন না, তাঁদের উদ্দেশ্য করে পুলিশ শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে মারেন।
এই হাতাহাতিতে অনেকেই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। পুলিশ যখন চেষ্টা করছিলেন আইএসএফ-এর দলের ধর্না ভাঙার, সেই মুহূর্তেই তাঁদের দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলতে শুরু করেন যে, তৃণমূলের নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এরপর পুলিশ নওশাদকেই উল্টে লালবাজারে ধরে নিয়ে যায়।