বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমাদের কোম্পানি ভাল, প্রোডাক্টও ভাল, ফেরিওয়ালারা গুলোই খারাপ! নেতাদের চরিত্রের জন্যই দলের এমন দশা। ঠিক এমনই মন্তব্য শোনা গেল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কৃষ্ণ দাসের (Krishna das) গলায়। খোদ শাসকদলের নেতার এহেন বেফাঁস মন্তব্যে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
এদিন তৃণমূল প্রভাবিত ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ মঞ্চ’ তে বক্তৃতা দিতে যান উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। নিজে দলের নেতা হয়েও দলের বিরুদ্ধে করে বসলেন বিতর্কিত মন্তব্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে কৃষ্ণ বলে ,‘তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি ভাল। এই কোম্পানির প্রোডাক্ট ভাল। জিনিস ভালো, কিন্তু সেই প্রোডাক্টের ফেরিওলারা গুলোই বড় গন্ডগোলের।’ শুধু তাই নয়, নেতার সংযোজন, ‘ফেরিওলারা গুলোর চরিত্রের জন্যই দলের এমন দশা’। স্বাভাবিকভাবেই দলের নেতার এহেন মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পরে পুরো দলকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছেন বহুবার। কয়েকদিন আগেই সেই সুরে কথা বলে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। এবার ফের দলের আরেক নেতার গলা তেই শোনা গেল একই কথা। প্রসঙ্গত, বিগত কিছুমাস ধরে একের পর এক লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। আর পুড়েছে দলের নাম।
এদিন কার্যত এব্যাপারেই মন্তব্য করেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলার এসটি, এসসি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস। এরপরই দুর্নীতির সাফাই দিয়ে তিঁনি প্রশ্ন করেন, ঘুষ কোন যুগে ছিল না? চোর কোন যুগে ছিল না? পূর্বের সিপিএম কংগ্রেসের শাসন তো দূর, সীতাকে রাবনের চুরি করে নিয়ে যাওয়া এবং দৌপদীর বস্ত্রহরণের কথা উল্লেখ করে তিঁনি বলেন , মানুষের মধ্যে ভাল খারাপ দুই-ই রয়েছে। তবে দেখতে হবে ভাল কতটা আর খারাপ কতটা!
তবে এ বিষয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের এক নেতা বলেন, ‘তৃণমূল আসলে টাকা মারা কোম্পানি। এই দলে সবাই চোর। দলতায় একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। এরা যা চুরি করে তার ২৫ শতাংশ নিজেদের জন্য রেখে দিয়ে বাকি টাকা উপর তলায় পাঠায়।’