বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী সরস্বতী পুজোর দিনই হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) হাতেখড়ি। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)। এই বিষয়েই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে এই সৌজন্যের সম্পর্ক মোটেই ভালো চোখে দেখছে না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ আনন্দ বোসের রাজভবন একরকম তৃণমূলের পার্টি তৈরি হয়ে গেছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে স্বপন দাশগুপ্তর (Swapan Dasgupta)। স্বপন মোদি-শাহরও অত্যন্ত আস্থাভাজন। প্রয়াত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও স্বপনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই স্বপন দাশগুপ্ত এদিন বলেন, ‘সরস্বতী পুজোর সময়ে অনেকেই হাতেখড়ি দেন। একজন বাংলা শিখতে চাইছেন, খুবই ভাল কথা। কিন্তু এখানে ব্যাপারটা অতটাও সাদামাঠা নয়। একটা রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে এর মধ্যে। তা হল এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে যেন বোঝানো হচ্ছে যে বাংলায় শিক্ষার ক্ষেত্রে সব কিছুই ঠিক আছে। কিন্তু তা তো ঠিক নয়। পুরো শিক্ষা দফতর এখন জেলের ভিতরে। এই সময়ে লোক দেখানো হাতেখড়ি অবান্তর ব্যাপার। এটা মানুষকে বোকা বানানো। এর মধ্যে রাজ্যের রাজ্যপালের আসা উচিত নয়।’
স্বপন আরও বলেন, ‘উনি অবসরের স্বর্গরাজ্য তথা পেনশনার্স প্যারাডাইস হিসাবে এখানে আসেননি। বাংলার একটা জটিল সমস্যা রয়েছে। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতেই উনি এসেছেন। সেই পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। অথচ সে সব ভুলে অনেক বেশি যেন প্লে অ্যাক্টিং করা হচ্ছে। তাঁর লেখা বই সরকার অনুবাদ করবে, বইমেলায় বেরোবে। এ সব আদিখ্যেতার থেকে বড় ঘটনা কিন্তু বাংলায় ঘটছে।’
স্বপন দাশগুপ্ত এদিন আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খুশি নন। বিরোধী দলনেতার পদটিও সাংবিধানিক। রাজভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে পিছনের আসন দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে ডেকে অপমান করা হচ্ছে। আর রাজ্যপাল কিছু বলছেন না। এভাবে চলতে পারে না।’ এখন দেখার রাজ্য বিজেপি বনাম রাজ্যপালের এই সংঘাত কতদূর পর্যন্ত গড়ায়।