বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথমে শ্রীকান্ত মাহাতো আর এখন তৃণমূলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পরপর অভিযোগে জেলা স্তরে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন মেদিনীপুর শহরের বিধায়ক জুন মালিয়া (June Maliya)। অভিনেত্রী বিধায়কের বিরুদ্ধে পার্টির অন্দরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে। তিনি যা করছেন তাতে নাকি পার্টির ভাল হচ্ছে না, এমনি অভিযোগ জুনকে নিয়ে।
মেদিনীপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি তথা পুরসভার কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব এবং স্থানীয় সংখ্যালঘু সেলের নেতা মোজাম্মেল হোসেন, এই দুজনের অভিযোগ জুনকে নিয়ে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষ্ফোরক অভিযোগ করে বিশ্বনাথ পাণ্ডব জানান, সাংগঠনিক কর্মসূচি নাকি জুন বিশেষ করেন না। করলেও শুধুমাত্র নিজের পছন্দের লোকজনদের ডাকেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে সংগঠনের অন্দরে বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল সভাপতি।
অন্যদিকে মোজাম্মেল হোসেনের অভিযোগ, গত শনিবার জুন তাঁর ওয়ার্ডে এলেও তাঁকে ডাকেননি। বরং গত বারের পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপক্ষে যে নির্দল প্রার্থী দাঁড়িয়েছিল, জুন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, একসঙ্গে বসে চা খেয়েছেন।
অভিনেত্রী বিধায়কের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছে শ্রীকান্ত মাহাতোর কথা। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটোপুটে খাচ্ছে। এরা দলের সম্পদ হলে দল করা যাবে না। অভিষেক, সুব্রত বক্সিদের বোঝাতে চেয়েছিলাম। ওঁরা বুঝতে চাননি। দল চোর ডাকাতদের কথা শুনছে। ওই ক্যাবিনেটে সবাই চোর, লোকে বলছে তো।”
বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে মধ্যস্থতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সে সময়ে দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছিলেন বলে খবর সূত্রের। দিদির কথা শুনে নাকি জুনের সঙ্গে ‘ভাব’ করে নিয়েছিলেন শ্রীকান্ত মাহাতো। কিন্তু সেবারের মতো সবদিক রক্ষা হলেও ফের অভিযোগ উঠল জুনের বিরুদ্ধে।