২০২৩ মন্দার কবলে বিশ্বঅর্থনীতি! আশা জাগাচ্ছে একমাত্র ভারত! দাবি IMF-র

বাংলা হান্ট ডেস্ক : টলমল আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পাবে দোলাচলতা, অস্থির অবস্থা। কিন্তু তার পরও ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থান যথেষ্ট উজ্জ্বল। এমনই পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড’-এর (IMF)। আইএমএফ নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হল ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ – ২৪ সালে সেই বৃদ্ধির হার হবে ৬.১ শতাংশ।

টালমাটাল বিশ্বের পরিস্থিতি। সে অর্থনৈতিক হোক বা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সংক্রান্ত বিষয়ই হোক না কেন। মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ গত বছর থেকে শুরু হয়েছে, তা এখনও চলছে। কিন্তু এরপরও ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে বড় দাবি করল আইএমএফ। আন্তর্জাতিক সংস্থা জানায় ‘কোভিড সংক্রমণের ধাক্কা থেকে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’ তাদের রিপোর্ট জানিয়েছে, বাস্তবিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২১ – ২২ এ হল ৮.৭ শতাংশ। যা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের থেকে বেশি। চলতি অর্থবর্ষেও বৃদ্ধির হার অব্যাহত। লেবার মার্কেট ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও ঋণের চাহিদা রয়েছে। সে কারণে মার্কেটে অর্থের প্রবাহ রয়েছে।

Indian Economy1

আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে ভারত সরকারের নীতিগুলি নতুন অর্থনৈতিক অস্থির অবস্থার মোকাবিলা করতে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির চাপ, বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থা, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলাফল এবং রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং চিন এবং উন্নত অর্থনীতির বৃদ্ধির শ্লথ গতি-সহ একাধিক সমস্যা। ভারতের বৃদ্ধি সম্পর্কে আইএমএফ জানিয়েছ, ২০২২ – ২৩ এবং ২০২৩ – ২৪ সালে প্রকৃত জিডিপি যথাক্রমে ৬.৮ শতাংশ এবং ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। ২০২২ -২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি ৬.৯ শতাংশ হবে। তারপরে মুদ্রাস্ফীতি ধীরে-ধীরে কমতে পারে বলে আইএমএফ জানিয়েছে। চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২ – ২৩ সালে জিডিপির ৩.৫ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থাও নিজেদের রিপোর্টে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। এরই সঙ্গে ওই সংস্থাগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও। বিশেষ করে মার্কিন ফেড রিজার্ভ যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে তাতে তার চূড়ান্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর