পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫০০ ছাত্রীর মাঝে একা ছেলে! টেনশনে মাথা ঘুরিয়ে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ছাত্র

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরীক্ষা দিতে  গিয়ে কেলেঙ্কারি! পরীক্ষা কেন্দ্রেই জ্ঞান হারাল ছাত্র। তবে কোনও শারীরিক সমস্যার জন্য নয়। তার অজ্ঞান হওয়ার কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)। সেখানে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ইন্টারমিটিয়েটের পরীক্ষা। বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে পড়ুয়ারা। নালন্দার এমনই এক পরীক্ষা কেন্দ্রে অজ্ঞান হয়ে গেল এক পরীক্ষার্থী।

ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ছাত্রের নাম মনীশ শঙ্কর (Manish Shankar)। জানা গিয়েছে, সে শঙ্কর আলম ইকবাল কলেজের ছাত্র। কিন্তু তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছিল বিহার শরিফের ব্রিলিয়ান্ট কনভেন্ট স্কুলে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতর পৌঁছে মনীশ সেখানে একাই ছেলে। প্রায় ৫০০ জন ছাত্রীর মাঝে বসে তাকে পরীক্ষা দিতে হবে।

student fainted

এই দেখে সে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। ৫০০ জন ছাত্রীর মাঝে একা ছাত্র হিসেবে পরীক্ষা দিতে গিয়েই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এমনকী, পরীক্ষা কেন্দ্রেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিন্তু কেন সে অজ্ঞান হয়ে পড়ল, তা সেই মুহূর্তে জানা সম্ভব হয়নি। তাই তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মনীশের জ্ঞান ফিরলে জানা যায় অজ্ঞান হওয়ার আসল কারণ। 

আসলে অতজন ছাত্রীর মাঝে নিজেকে একা ছাত্র পেয়ে আর ঠিক থাকতে পারেনি সে। হতচকিত হয়ে পড়ে। ফলে তার শরীরে প্রভাব পড়তে শুরু করে। শারীরিক দিক থেকে অসুস্থতা অনুভব করে এবং মাথা ঘোরাতে থাকে। এরপর অসুস্থতা বেড়ে গিয়ে হঠাতই জ্ঞান হারায় মনীশ। এ বিষয়ে মনীশের কাকিমা বলেন, “মনীশ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখে ঘরে সে একা ছেলে। এতেই সে নার্ভাস হয়ে পড়ে ও জ্বর এসে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাথা ঘোরাতে থাকে এবং তারপর জ্ঞান হারায় সে। তারপরেই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আনা হয় মনীশকে।” এই ঘটনা ভাইরাল (Viral video) হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মনীশের এই ঘটনায়। কেউ কেউ মজার ছলে নিয়ে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন এটি গুরুতর একটি বিষয়। তাই এটি নিয়ে মজা করা উচিত নয়।

একজন নেটিজেন কমেন্ট করেছেন, ‘আজকের দিনেও গ্রামের স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা বসানো হয়। এর ফলে দু’পক্ষেরই একে অপরের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা হয়ে ওঠে না। ফলে কথা বলার জড়তা কাটে না। এটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ধীরে ধীরে স্কুল স্তর থেকেই যদি ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কথোপকথন বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা হয়তো আর হবে না।’ এ বিষয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত রয়েছে। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর