বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ায় তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রী বা অভিনেত্রী-পরিচালক জুটির ছড়াছড়ি। অনেকে আবার ‘পাওয়ার কাপল’ এর তকমাও পেয়েছেন। কিন্তু তাদের সবাইকে অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তায় টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey) এবং দোলন রায় (Dolon Roy)। যখন লিভ ইন রিলেশনশিপ ট্রেন্ডিং বিষয় ছিল না, সমাজের চাপ অনেক বেশি মাত্রায় ছিল, সেই সময়েও ভালবাসার জোরে নিজের থেকে বয়সে ঢের বড় ‘টিটোদা’র সঙ্গে এক ছাদের তলায় থেকেছেন দোলন।
২০২০ সালে তাঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কটাকে আইনি রূপদান করেছেন তাঁরা। এখন সমাজের চোখেও তাঁরা স্বামী স্ত্রী। বিনোদন দুনিয়ার বিরুদ্ধে যখন বারবার সম্পর্ক ভাঙার অভিযোগ ওঠে, তখন একে অপরের হাত আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরেন দীপঙ্কর দোলন। আরো অনেকগুলো বছর একসঙ্গে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা।
কিন্তু এতগুলো বছরে একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে দোলনের। মা হতে পারেননি তিনি। ‘অপুর সংসার’এ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে মনের দুঃখের কথা বলেই ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, মেয়ের মা হতে খুব ইচ্ছা হয় তাঁর। অনেক ছোট বয়স থেকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। নিজের মায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে।
মায়ের খুব কাছের হলেও এখন আর সবকিছু শেয়ার করা যায় না। নিজের মেয়ে থাকলে তার সঙ্গেই বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করতেন তিনি। খুব ভাল মা হতেন বলেও বিশ্বাস দোলনের। পাশেই বসে ছিলেন দীপঙ্কর দে। তবে দোলনের কথার কোনো উত্তর সেই মুহূর্তে ছিল না তাঁর কাছে।
যদিও দোলনের স্বার্থত্যাগের কথা বারবার বড় মুখ করে বলতে শোনা গিয়েছে প্রবীণ অভিনেতাকে। একবার দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে তিনি বলেছিলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোলন যেভাবে তাঁর যত্ন নেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়। বয়সে এত ছোট, কত স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তবুও তাঁকে ভালবেসে রয়ে গিয়েছেন দোলন। অনেক আত্মত্যাগও করেছেন তিনি, জানিয়েছিলেন দীপঙ্কর দে।