বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। হাতে গোনা কিছুদিনের সময় মাত্র। জোর কদমে চলছে ভোট প্রচার। একদিকে ভোটমুখী ত্রিপুরায় মেগা প্রচারের উদ্দেশে বিশাল জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অন্যদিকে ভোট প্রচারে ত্রিপুরায় পৌঁছলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে ত্রিপুরার শান্তিরবাজারে গেরুয়া শিবিরের বিশাল জনসভা থেকে একযোগে বিরোধীদের তোপ দাগলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী। শাহ বলেন, “একসময় ত্রিপুরা উগ্রবাদীদের আখড়া ছিল। গত ৫ বছরে দুই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে আমূল বদলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মডেল ত্রিপুরাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” তবে সকল বিরোধিকে একহাত নিলেন এদিন শাহের মুখে একবারও শোনা যায়নি ঘাসফুলের নাম।
এদিন বিজেপির করা উন্নয়নের কথা তুলে শাহ বলেন, “উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের গুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যেত। এখন বিমান এবং রেলের ইঞ্জিনের শব্দ শোনা যায়।” তিনি আরও বলেন, লাগাতার জনজাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে বিজেপি সরকার। রাজ্যের জনগণকে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকার আনার আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিন শাহ আরও বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দেওয়া। নিজের বক্তৃতায় একহাত নেন বাম-কংগ্রেস জোটকেও। বলেন ,”সিপিএম জিততে পারবে না জেনেই কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছে। তিপ্রামথার সাথে গোপনে সমঝোতা করেছে।” তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন একটি তার গলায় একবারের জন্য শোনা যায়নি তৃণমূলের নাম।
এই নিয়ে পাল্টা ত্রিপুরা তৃণমূল জানায়,”তাদের বিষয় নাম নেবেন কি নেবেন না। মানুষের কথা তাঁর মুখে নেই। ভঙ্গুর সরকারকে ডিফেন্ড করতে দিশাহীন বক্তৃতা দিয়েছেন শাহ। তৃণমূল আশাবাদী। মমতাদিকে ত্রিপুরার মানুষ চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটে প্রবল সন্ত্রাস করে আটকানো হয়েছে।” সমস্ত মিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ্যই চড়ছে রাজনীতির পারদ।