বাংলাহান্ট ডেস্ক: পিংলার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপত্তিতে যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময়েই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কথা বলা বন্ধ করে মঞ্চে রাখা চেয়ারের উপরে বসে পড়েন। সভায় উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। শেষে বসে বসেই বক্তব্য রাখতে দেখা যায় সায়নীকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মুণ্ডমারিতে এদিন তৃণমূলের তরফে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন সায়নী ঘোষ। হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চে রাখা চেয়ারে বসে পড়েন সায়নী। সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসেন মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
তিনিই তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন তৃণমূল যুবনেত্রীর। জল খেয়ে, ডাব হাতে নিয়ে চেয়ারে বসেই বক্তব্য রাখেন তিনি। জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে ব্লাড প্রেশার কমে যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সায়নী। আসলে রাজনৈতিক জগতের মানুষ হলেও পেশায় একজন চিকিৎসক মানস ভুঁইয়া। গ্রামীণ এলাকাতেও তিনি চিকিৎসা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার পিংলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। তারই পালটা সভা হয় এদিন। সভায় মূল বক্তা হিসাবে সায়নী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্যও। ছিলেন বিধায়ক অজিত মাইতিও।
সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো নিয়ে সংবাদ শিরোনামে ছিলেন সায়নী। সৌমিত্র খাঁ কটাক্ষ করেন, রাজনীতির বাইরেও চাকরি দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল যুব তৃণমূল নেতা সায়নীর। সেই কারণেই কুন্তলের গ্রেফতারির পরেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে।
এরপরেই সৌমিত্র খাঁকে মানহানির মামলার নোটিস পাঠান সায়নী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সাংসদের ভিত্তিহীন দাবিতে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বিজেপি সাংসদকে, স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে নোটিসে।