বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তাল বঙ্গ বিধানসভা। চরম হই হট্টগোলের মুখে নিজের বক্তব্য শেষই করতে পারলেন না বিরোধী দলনেতা। ক্ষুব্ধ হয়ে বিধানসভা ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের সংসদের সঙ্গেই বিধানসভা ত্যাগ করলেন বিজেপি-র বাকি বিধায়করাও।
বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন বিজেপি নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেপয়া শুরু করেন। এরপরেই স্পিকারকে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন করেন যে কেন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কথা বলা যাবে না। এরপরেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। স্পিকারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার প্রস্তাব আনার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
এর আগে বিজেপির অন্যান্য বক্তারা রাজ্যপালের ভাষণের উপরই বক্তৃতা দেয়। আজকেও বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা বক্তৃতা দিয়েছেন। এ দিন বক্তৃতার শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী রাজভবন থেকে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল তা সামনে নিয়ে আসেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, স্পীকার সেই সময় তাঁকে বাধা দেন। এরপর শুভেন্দু আধিকারী আরও কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে চান। ঠিক সেই সময়ও তাঁর বিরোধিতা করা হয় বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
এরপরই বিরোধী দলনেতা অভিযোগ জানান, স্পীকার বারংবার তাঁর বক্তৃতায় বাধা দান করছে। ফলে সেখানে তাঁরা বক্তৃতা দিতে পারছেন না। এরপরই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যপালের ভাষণ নিয়েই তাঁরা আলোচনা করছিলেন। তাহলে যদি আলোচনাই করতে না দেওয়া হয় তাহলে সেখানে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা নেই। এরপরই ওয়াক আউট করে গেরুয়া শিবির।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে সতর্ক করেন তাঁকে পেট্রোল বোমা দিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে। সেই সময়ও অধিকারী পরিবারকে পাশে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টাকার উৎস সম্পর্কেও এদিন প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রি বিধানসভায় নিজের বক্তব্যের শুরুতেই অধ্যক্ষের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বিধানসভায় বলেন লজ্জাজনক ব্যক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা।