বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ এবং চাকরি দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। দুর্নীতির শিকড় শুধু রাজনৈতিক মহলেই ছড়িয়ে নেই। প্রবেশ করেছে বিনোদন জগতের অন্দরেও। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার ইডির নজরে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে ছবি করার টাকা তিনিও নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বনির ইডি হাজিরা নিয়ে যখন টলিউড উত্তাল, তখনি নাম না করে অভিনেতাকে খোঁচা মারলেন ঋদ্ধি সেন।
রাজনৈতিক, সামাজিক বা বিনোদন দুনিয়ার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলতে বা কলম ধরতে দেখা গিয়েছে ঋদ্ধিকে। সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেই নিজের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন তিনি। কখনো সরাসরি আক্রমণ শানান, কখনো বা ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন। ঠিক যেভাবে বনি এসেছেন তাঁর নিশানায়।
ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘সাক্ষাৎকারে গম্ভীর / উদ্বিগ্ন মুখে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ, পাশে দাঁড়ানো, সিঙ্গেল স্ক্রিনকে ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব নিয়ে বাণী দেবেন, দর্শক শুনছেন l তাদের অভিনয় কেন ভালো লাগেনা সেই নিয়ে অভিমান করবেন, দর্শক শুনছেন l পরের পর একই গল্প নিয়ে ছবি করে যাচ্ছেন এবং মানতে চাইছেন না যে ছবিগুলো তারা বানাতে পারছেন না, তাই নিয়ে সাক্ষাৎকারে চোখ রাঙাচ্ছেন ,দর্শক শুনছেন l তার পর হঠাৎ একদিন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ বর্তমানে ED’র দরবারে প্রবেশ পেলেন , এইবার দর্শক অবশেষে দেখছেন l’
ঋদ্ধির রসিকতায় মজা পেয়েছেন নেটিজেনরাও। বনি অভিনীত বিভিন্ন ছবির নাম নিয়ে তারা লিখেছেন, ইডি বি লাইক, পারব না আমি ছাড়তে তোকে। আবার কেউ লিখেছেন, এই ছবির নাম হবে যদি ইডি না দিলে প্রাণে। উল্লেখ্য, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মান পড়ে যাচ্ছে, দর্শকরা আর বাংলা ছবি দেখছে না, এমনি অভিযোগ তুলে ইন্ডাস্ট্রির একগুচ্ছ অভিনেতা অভিনেত্রী ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ বলে আর্জি জানিয়েছিলেন।
সেই তালিকায় ছিলেন বনিও। কিন্তু তাঁর ছবি তবুও ব্যবসা করতে পারেনি। যদিও তাতে বনির বিলাসবহুল জীবনযাপনে বিশেষ প্রভাব পড়েছিল বলে মালুম পড়েনি। এবার দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর নাম উঠে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন আমজনতা। ইডির অফিসে হাজিরা দিলেও বনি দাবি করেছেন, কুন্তলের কাজকর্ম নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
একটি ছবি তৈরির জন্য কুন্তল ঘোষ তাঁকে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছবি পরবর্তীকালে আর বানানো হয়নি। এমনকি টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্রও নেই বলে দাবি করেছেন বনি। তিনি ফাঁপড়ে পড়তেই পরোক্ষে খোঁচা মেরেছেন ঋদ্ধি।