বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর থেকেই ইডির (ED) নজরে ছিল তার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (CA Manish Kothari)। চলতি মাসেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে তদন্তকারী দল। চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এরপরই ডেকে পাঠানো হয় কেষ্টর সিএ মণীশকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এরপরই রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এজলাস থেকে বেরোনোর পর মণীশকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদেছিলেন তার স্ত্রী। মণীশের চোখের কোনাতেও তখন জমে আছে জল। কাঁদো কাঁদো গলায় তিনি বলেন, ‘‘আমি কিচ্ছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়া।’’
মণীশের জানান তিনি কোনো ভুল করেননি। অন্যদিকে, ইডির দাবি অনুব্রতের হয়ে তিনিই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন এই মনীশই। অন্যদিকে, তলবে ডেকে মনীশ গ্রেফতারের পর বুধবার ইডির ডাকে সায় দেননি অনুব্রত কন্যা। গরু পাচার তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে বুধবার বেলা ১১ টার মধ্যে দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal)। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি হাজিরা এড়ান তিনি।
তবে বুধবারের হাজিরা এড়িয়ে গেলেও খুব শীঘ্রই তাকে ফের তলব করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল ইডি। সেই তালিকার প্রথমে নাম ছিল সুকন্যা ও মণীশের। জানা গিয়েছে, মণীশের সঙ্গে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির অফিসাররা। পাশাপাশি অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী কৃপাময় ঘোষকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে সাত দিনের জন্য মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। পরে মণীশের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘মণীশকে যত বার ডাকা হয়েছে, তত বারই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রয়োজনে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। তিনি শুধু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গরু পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই।’’ আইনজীবীর অনুরোধে বিচারক সাত দিনের বদলে মণীশকে পাঁচ দিন ইডি-র হেফাজতের নির্দেশ দেন। রবিবার তার পাঁচ দিনের হেফাজত শেষে সোমবার তাকে ফের আদালতে তোলা হবে।