বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনুব্রতর (Anubrata Mandal) দাদাগিরি সহ্য করতে হয়েছিল তাঁর বিশ্বস্ত হিসাবরক্ষকেও। নিজের সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেমকে (ANM Agrochem) প্রায় জলের দরে সুকন্যার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন তিনি। জেরায় এমনই দাবি করলেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। মণীশের দাবি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
ইডি সূত্রের খবর, জেরায় মণীশ জানান এএনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর নিজের। ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেন অনুব্রত। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দেন অনুব্রত।
গরু পাচার মামলায় চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। তবে সেই সংস্থা যে এএনএম অ্যাগ্রোকেম তা এতদিন জানা ছিল না গোয়েন্দাদের। গ্রেফতারির পর মণীশের দাবি, তিনিও অনুব্রতর সর্বগ্রাসী মনোভাবের শিকার। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের হিসাবরক্ষকের সংস্থাও হাতিয়ে নেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, মণীশ কোঠারির দাবি ক্ষতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সোমবার অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সুকন্যা শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিলে তাঁকে এই নিজে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা।
সরকারি নথি বলছে, বীরভূমের কঙ্কালীতলা মৌজা, দ্বারকানাথপুর মৌজা, গোপালনগর মৌজা, সুরুল মৌজা, রূপপুর মৌজাতে জমি রয়েছে মণীশ কোঠারির। আর এই জমিগুলির সামগ্রিক বাজার মূল্য কোটি কোটি টাকা বলেই সূত্রের খবর। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যেই এই জমিগুলি কেনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে নথি থেকে।