বাংলা হান্ট ডেস্ক : গোরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) আবারও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) দফতরে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Suknya Mandal)। সোমবার দিল্লি (Delhi) যাচ্ছেন না তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তলব সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হলেন না সুকন্যা।
গোরু পাচার মামলায় গত বুধবার প্রথমবার সুকন্যাকে তলব করে ইডি। তাঁকে দিল্লির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেবার ইডির দফতরে না গিয়ে আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত কন্যা। এর পরই সোমবার আবারও তাঁকে তলব করা হয়। সেই তলবে তিনি এড়িয়ে গেলেন বলে জানা যাচ্ছে।
সুকন্যা ছাড়াও গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর মেয়ের গাড়ির চালক তুফান মির্ধাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তলব করা হয় তৃণমূলের ছাত্র নেতা কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সিদ্ধার্থ মণ্ডল ও সঞ্জীব মজুমদারকেও। সোমবারই শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের ED হেফাজতের মেয়াদ। মঙ্গলবার তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের দুই তৃণমূল বিধায়ক। এবার হলেন জঙ্গিপুরের জাকির হোসেন ও সুতির ইমানি বিশ্বাস। এই দু’জনকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক বিধায়ককে তলব করা হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর।
সোমবার অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে ফের ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত বছরের জন্মাষ্টমীর দিন বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে সিবিআই-র পাশাপাশি গোরু পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেফতারির পর আসানসোল জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সেখান থেকেই ফের তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।