বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা হয় না বিজেপির তারকা সদস্যদের। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান হয়নি বাংলার গর্ব জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। এবার আবারো একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হল। তবে এবারে বিষয়টা একটু অন্য রকম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবেও বাদ গেলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh), মিঠুন সহ গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা।
গত ২৪ মার্চ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে সত্যজিৎ রায় ফিল্য অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মঞ্চ আলো করে বসে রইলেন ইন্ডাস্ট্রির তাবড় শিল্পী, তারকারা যারা কিনা রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে দেখা মিলল না বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ, বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, এমনকি মহাতারকা মিঠুনেরও।
যদিও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর তথা বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর বক্তব্য অবশ্য অন্য রকম। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আসতে পারেননি। রাজনৈতিক ব্যস্ততায় আসতে পারেননি অনুরাগ ঠাকুর এবং মিঠুন নাকি শুটিংয়ে ব্যস্ত বলে আসতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা মিলল সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিনেত্রীদের। তবে সবথেকে বেশি যিনি নজর কাড়লেন, তিনি হলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীতে ‘সুকন্যা’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আধারিত একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে সরকার ঘনিষ্ঠ শিল্পীরা রয়েছেন সেখানে গেরুয়া শিবিরের তারকা সদস্যদের কারোর দেখা মিলল না কেন? এখানেও ব্রাত্য থাকলেন কেন রুদ্রনীল? অনুষ্ঠানের আয়োজক সঙ্ঘমিত্রার সাফাই, রুদ্রনীলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাড়িতে কার্ড পাঠিয়ে, ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবুও কেন এলেন না তিনি? সঙ্ঘমিত্রার উত্তর, তা জানেন না তিনি।
আসল ব্যাপারটা জানা গেল রুদ্রনীলের কাছ থেকে। অভিনেতা জানালেন, দর্শকাসনে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। অথচ যারা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন তারাই রয়েছেন অ্যাডভাইজরি কমিটি এবং মঞ্চে। কনীনিকাকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন সঙ্ঘমিত্রা। অথচ বিজেপির কেউই উপস্থিত ছিলেন না সেখানে।
এমতাবস্থায় উৎসবের অন্যতম আয়োজক সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনকি এও প্রশ্ন উঠছে, বঙ্গ বিজেপিতে কি ক্রমশ আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে রুদ্রনীলকে? তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি দলীয় নেতৃত্বদের তরফে।