বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকেই বিভিন্ন নিত্যনতুন উপায় অবলম্বন করছেন। পাশাপাশি, সেগুলি সঠিকভাবে শুরু করে দুর্দান্ত আয়ও (Income) করছেন তাঁরা। যার ফলে বাকিরাও উৎসাহিত হচ্ছেন। আর সেই কারণেই গতানুগতিকভাবে চাকরির পথে অগ্রসর হওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমেছে। শুধু তাই নয়, চাহিদার ওপর ভর করে চাষাবাদের মাধ্যমেও লাভের মুখ দেখছেন অনেকে।
এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি একটি লাভজনক চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে এই প্ৰতিবেদনটি নিঃসন্দেহে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ, আজ আমরা আপনাকে একটি দুর্দান্ত চাষের প্রসঙ্গে জানাবো। মূলত, পলাশ গাছের মাধ্যমে আপনি বাম্পার আয় করতে পারেন। এই গাছের ফুলটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। অন্যান্য ফুলের মতো পলাশ ফুলে কোনো সুগন্ধ না থাকলেও অনেক গুণে সমৃদ্ধ এই ফুল।
মূলত, পলাশ ফুল তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এই ফুলটিকে পার্স, ঢাক, সু, কিশক, সুকা, ব্রহ্মবৃক্ষ এবং ফ্লেম অফ ফরেস্ট নামেও অভিহিত করা হয়। পলাশ ফুল চাষ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য।
পলাশ ফুল একাধিক গুণে ভরপুর: পলাশ ফুল তার জৈব রঙের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। ফুল ছাড়াও এই গাছের বীজ, পাতা, ছাল, শিকড় এবং কাঠও ব্যবহৃত হয়। এগুলি থেকে তৈরি হওয়া আয়ুর্বেদিক পাউডার ও তেলও বিক্রি হয় বেশ ভালো দামে। পাশাপাশি,হোলির রঙ তৈরিতেও এই ফুল ব্যবহার করা হয়। মধ্যপ্রদেশের অন্তর্গত চিত্রকূট, মানিকপুর, বান্দা, উত্তরপ্রদেশের মহোবা এবং বুন্দেলখণ্ডে এই ফুল পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই ফুলগুলি ঝাড়খণ্ড এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকায় চাষ করা হয়। তবে, আমাদের রাজ্যেও এই গাছের সন্ধান মেলে।
একবার গাছ লাগান, সারাজীবন উপার্জন করুন: ইতিমধ্যেই পলাশ ফুল চাষের মাধ্যমে বিপুলভাবে লাভবান হয়েছেন বহু কৃষক। তবে গত কয়েক বছরে এই ফুলের চাষ কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, চাহিদার ওপর করে আপনি এই ফুলের চাষ শুরু করতে পারেন। পলাশ গাছের চারা রোপণের পর ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ফুল আসা শুরু হয়। আপনি চাইলে ১ একর জমিতে ৫০ হাজার টাকায় পলাশ গাছের বাগান তৈরি করতে পারেন। একবার এই গাছ লাগানো হলেই, সেগুলি পরবর্তী ৩০ বছরের জন্য আপনার আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।
ঔষধি গুণে ভরপুর পলাশ গাছ: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই গাছ থেকে প্রাপ্ত সবকিছুই ঔষধি গুণে ভরপুর হয়। যে কারণে এই গাছ একাধিক রোগের উপশমেও ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নাক, কান বা অন্য কোনো স্থান থেকে রক্তপাত হলে পলাশের ছালের তৈরি করা রস পান করলে উপকার পাওয়া যায়। অন্যদিকে পলাশের আঠা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে দুধ বা আমলকির রসের সঙ্গে খেলে হাড় মজবুত হয়।