বাংলা হান্ট ডেস্ক : পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কে মাঝেই চরম হতাশার সুর ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) গলায়। তিনি বললেন, ‘২৫ বছর ধরে মানুষের কাজ করছি। বয়স হচ্ছে, এবার যাওয়ার পালা।’ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। নিন্দুকদের মতে, পার্কিং নিয়ে অশান্তির জেরেই দলের উপর ক্ষুব্ধ পুরমন্ত্রী।
রবিবার চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি বলেন, ‘২৫ বছর ধরে মানুষের কাজ করছি। এখন বয়স হচ্ছে। আজ এক দাদাকে দাহ করে এলাম। একদিন আমাকেও চলে যেতে হবে। নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে।’ ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। অনেকেরই দাবি, দলের প্রতি অভিমানের জেরেই এমন কথা।
গত কয়েকদিন ধরেই পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্ক চলছে। তবে প্রকাশ্যে এ বিষয়ে একটিও কথা বলেননি ফিরহাদ। তবে ওয়াকিবহলমহলের ধারণা ছিল, বিষয়টা একেবারেই ভালভাবে দেখছেন না পুরমন্ত্রী। এদিনের মন্তব্যের পর অনেকেরই ধারণা, দলের প্রতি অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ।
অবশ্য বিষয়টাকে সেভাবে দেখতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্ক কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। উনি সিনিয়র নেতা। যা বলেছেন, জীবনদর্শনের কথা বলেছেন। সেটাকে অন্যভাবে দেখার কোনও কারণ নেই।’
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে শুক্রবার তণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমাদের নেতৃত্বের নজরে এসেছে। পুরসভা এলাকায় পার্কিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনেকটা টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। বিষয়টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই সরকারের ইচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর যাতে চাপ না পড়ে। ২০১১ থেকে এমন কাজ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মানুষের উপর চাপ তৈরি হয়।