বাংলাহান্ট ডেস্ক :কথায় বলে ভালোবাসার হয়না কোনও বয়স। হয়না কোনও জাত ধর্ম। সমস্ত প্রতিকূলতাকে হার মানাতে পারে ভালোবাসা। সত্যি কারের ভালোবাসা থাকলে সবই সম্ভব। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা সকলের কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা এই একটাই। তবে জানেন কি? বি টাউনের (Bollywood) এমন অনেক সেলেব আছেন যারা অনেক বেশি বয়সে সাত পাকে বাধা পড়েছেন (Married)।
বিনোদন জগতে এমন তারকা খুব কমই আছেন যারা অল্প বয়সে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। আসলে কেরিয়ারের দিকে নজর দিতে গিয়েই নিজেদের নিয়ে ভাবতে ভুলে যান তাঁরা। আর সে কারণেই সাফল্য পাওয়ার পর বাধা পড়েন সাত পাকে। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন কিছু সেলেবদের কথা জানাবো যারা অনেক বেশি বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান : এই তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড সুপারস্টার সইফ আলি খানের। অল্প বয়সেই তিনি বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে। কিন্তু ভাঙ্গন ধরে সেই সম্পর্কে। এরপর ৪০ বছর বয়সে কপূর পরিবারের ছোট কন্যা কারিনা কপূরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পরেন এই অভিনেতা।
রানী মুখার্জী এবং আদিত্য চোপড়া : প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর রানি মুখার্জীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন পরিচালক আদিত্য চোপড়া। দ্বিতীয় বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর। যদিও তাঁদের প্রেম কাহিনী মোটেই সহজ ছিলনা।
কবীর বেদী এবং পারভিন দোসাঞ্জ : একবার বা দুবার নয় চার চার বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কবীর বেদী। চতুর্থবার যখন তিনি বিয়ে করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৭০ এর ঘরে। নিজের থেকে প্রায় ৩০ বছরের ছোট পারভিন দোসখঞ্জ-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।
নিনা গুপ্ত এবং বিবেক মেহরা : এই তালিকায় রয়েছেন একসময়ের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিনা গুপ্ত। প্রেমিক ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। বিয়ের আগেই মা হন। এরপরেই ভাঙ্গন ধরে সম্পর্কে। এক হাতেই বড় করেন মেয়েকে। প্রায় ৫৪ বছর বয়সে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরাকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী।
সুহাসিনী মূলে ও অতুল গুর্তু : টেলিভশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুহাসিনী মূলে। বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের। ৬০ বছর বয়সে অধ্যাপক অতুল গুর্তুের সাত পাকে বাধা পড়েন এই অভিনেত্রী।