বাংলাহান্ট ডেস্ক : একবার বা দুবার নয়, সাতবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরপর তিনবার দখল করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ। মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরের দায়িত্বও সামলেছেন। কথা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিয়ে। বঙ্গের রাজনীতিতে তো বটেই, এমনকি সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও রীতিমতো চর্চিত তিনি। অথচ, অবাক করে দেওয়ার মত তথ্য হল, দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী তিনি।
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমক্র্যাটিক রিফর্মস বা (ADR) এমনই রিপোর্ট দিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকার সামান্য বেশী। ADR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জনই কোটি টাকার মালিক। এমনকি, সর্বহারার দল সিপিএমের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কোটিপতিদের তালিকাভুক্ত।
এখন, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সম্পত্তির নিরিখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এত পিছিয়ে কেন ? সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করলেও মুখ্যমন্ত্রী কোন বেতনই গ্রহণ করেন না। শুধু তাই নয়, সাংসদ হিসাবে পেনশনও নেন না তিনি। তার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম হল তাঁর লেখা বই এবং আঁকা ছবি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বহু সভাতেই তার আয়ের উৎসের কথা উল্লেখ করেন। অনুগামীরা তাঁকে বলেন সততার প্রতীক।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তার যে দারিদ্রতা চলে যায়নি তা যেন স্পষ্ট হয়ে গেল আরোও একবার। যদিও বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ, কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও দুর্নীতির অভিযোগ আজও প্রমাণ হয়নি। রাজ্যে যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদল বিদ্ধ, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি তৃণমূলকে (TMC) যে খানিকটা স্বস্তি দেবে একথা বলাই বাহুল্য।