বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে ডিএ (DA) ইস্যুতে সরগরম বাংলার মাটি। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Govt Employee) একাংশ। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে একই চিত্র। আর দিন দিন ক্রমশ্যই বাড়ছে কর্মীদের ক্ষোভ, বাড়ছে আন্দোলনের মাত্রা। এই পরিস্থিতিতেই এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, রাজ্য সরকার যে ১১৫ শতাংশ কম ডিএ দিচ্ছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে নবান্ন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছে তার থেকে সাফ বোঝা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত (২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি) সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের নিরিখে পঞ্চম বেতন কমিশন এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এ রাজ্যের রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত ডিএয়ের হার হওয়া উচিত ২২১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, রাজ্য তরফে দেওয়া নির্দেশিকা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পঞ্চম বেতন কমিশন এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ১১৫ শতাংশ কম ডিএ দেওয়া হচ্ছে। যার হিসেবটা হল ২২১ শতাংশ – ১০৬ শতাংশ = ১১৫ শতাংশ। যেটা স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মার্চ মাসে বাজেট পেশের সময় রাজ্য তরফে সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পূর্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের (6th Pay Commission) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা শতকরা ৩ শতাংশ হারে ডিএ পেত। বর্তমানে আরও ৩ শতাংশ বাড়ায় তা গিয়েছে দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশে। উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পান ৪২ শতাংশ হারে।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে হবে। চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিনজন সদস্য মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনায় বসবেন। পাশাপাশি সরকার ও সরকারি কর্মীদের সেই আলোচনায় যাতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট।