আদানি গ্রুপের সঙ্গে চীনের গোপন আঁতাতের অভিযোগ! মুখ খুললেন অভিযুক্ত মরিস চ্যাং

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ সম্পর্কে এতদিনে দেশের সিংহভাগ মানুষই জেনে গিয়েছেন। সীমান্তে যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাতে বেজিংয়ের উপর যথেষ্ট চটে রয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের অন্যতম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপেরও (Adani Group) যেন দুর্দশা কাটতেই চাইছে না। মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ২৪ জানুয়ারির রিপোর্টের পর থেকেই কোটি কোটি টাকা লোকসান করেছে এই গোষ্ঠী। এ বার ভারতের অন্যতম শত্রু চিনের সঙ্গেও নাম জড়াল তাদের। যার ফলে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে গৌতম আদানির সংস্থাকে।

চিনের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যোগ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিরোধীরা একের পর এক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে বিপদে পড়ল আদানি গ্রুপ। শত্রুদেশ চিনের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যোগ রয়েছে। এই অভিযোগে সরব হয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন, এর পরেও কেন ভারতের বন্দরগুলি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল আদানি গ্রুপকে। চিনের সঙ্গে আদানির যোগ থাকার ফলে দেশের নিরাপত্তার দিকে আঙুল উঠছে বলে দাবি বিরোধীদের।

adani group share

বিরোধীদের অভিযোগ মূলত চিনের মরিস চ্যাংয়ের দিকে। এতদিন চুপ থাকার পর অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মরিস। তাঁর দাবি, তিনি তাইওয়ানের নাগরিক। একইসঙ্গে পিএমসি প্রজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টরও। তাঁর সংস্থা আদানি গ্রুপের জন্য বন্দর, টার্মিনাল, রেল লাইন, পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করার জেরে দাবি করা হচ্ছে আদানি-চিন যোগের। 

morris chang

তবে নিজেকে চিনের নাগরিক বলে মানতে নারাজ মরিস। অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি তাইওয়ানের নাগরিক। আমার পাসপোর্টে রিপাবলিক অফ চায়না লেখা রয়েছে। কিন্তু তাইওয়ান এখন সরকারি ভাবে তাইওয়ান নামেই পরিচিত। চিনের থেকে এটি পুরোপুরি আলাদা।” একইসঙ্গে তিনি বলেছেন যে আদানি গোষ্ঠীর বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ার কারণে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক নয়। তবে তাঁর জাতীয়তার দিকে প্রশ্ন তুলে এটিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করা হচ্ছে বলেও জানান চ্যাং। 

চ্যাং এদিন স্পষ্ট করে দেন যে রাজনীতির সঙ্গে কোনও রকম যোগ নেই তাঁর। নিজেকে তাইওয়ানের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চ্যাংয়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি পিএমসি-র বিরুদ্ধে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির জন্য আমদানি করা জিনিসের দাম বাড়ানোরও অভিযোগ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করেই আদানি গ্রুপ এবং মরিস চ্যাংয়ের দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর