বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন । ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও সেই প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহেই গত শুক্রবার অনুব্রত গড় বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Sha)। সেদিনের সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, আজ রবিবার সেই সিউড়িতে পালটা সভা করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এদিনের শাসকদলের সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ছিলেন বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের কোর কমিটির ন’জন মেম্বার সহ জেলা নেতৃত্বরা। সেই সভা থেকেই অমিত শাহকে পাল্টা কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তারকা নেতা সোহম চক্রবর্তী।
ঠিক কী বললেন বিধায়ক? এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সোহম বলেন, “বীরভূমের এই লাল মাটির ধুলো উড়িয়ে কীভাবে কালিমালিপ্ত করা যায়, কীভাবে বিভাজন তৈরি করা যায় সেই জন্যই তিনি এখানে আসেন। যদিও আশা করা উচিত না, তবুও আশা করেছিলাম যে যদি কোনও উন্নয়নমূলক কথা শোনা যায়। কিন্তু ওনার বক্তব্যে মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উস্কানি ছাড়া আর কিছু ছিল না। ”
এদিন অনুব্রত প্রসঙ্গেও কথা বলেন সোহম। আক্ষেপের সুরে বলেন, “আজ কেষ্ট দা’কে খুবই মিস করছি। আমরা জানি এটা কেবল রাজনৈতিক চক্রান্ত, আর কিছুই না। সুন্দরবন গেলাম, আর রযাল বেঙ্গল টাইগার দেখলাম না, তা হয় না।” প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়েই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর জন্য মন খারাপের কথা ব্যক্ত করলেন বিধায়ক।
এরপরেই খানিক আশা নিয়ে বীরভূমবাসীকে উদ্দেশ্য করে সোহম বলেন, “আপনাদের শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, প্রার্থনায় আবার উনি সকলের মধ্যে আসবেন। সেই সঙ্গে অভিভাবক হয়ে আবার বীরভূমকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ” প্রসঙ্গত, এদিন ফিরহাদের মুখেও উঠে আসে গরু পাচার ও অনুব্রতর কথা। মেয়র বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ থেকে গরু আসে। চলে যায় বাংলাদেশে। সীমান্তে পাহাড়ায় থাকে কেন্দ্রের বিএসএফ। এখানে মাঝখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে জুড়লে কী করে হবে? গরুপাচারের টাকা যায় উত্তরপ্রদেশ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’