১৭ লক্ষ থেকে ২২ লক্ষ, রেটচার্ট বানিয়ে চাকরি বিক্রি করত জীবন, চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল CBI

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আজ সকালেই তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই (CBI) । সেই বড়ঞার বিধায়ক জীবনকষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে মেলে পাঁচ জেলার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। যার মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড সহ ছবি প্রতিলিপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিলিপি সহ মিলেছে কয়েক কোটি টাকার অঙ্কের হিসেবও।

সিবিআই-এর দাবি, ২০১৬ সালের নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জীবনকে। তবে তার বাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ নথি মিলেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে শুধু নবম দশম নয়, প্রাইমারি থেকে একাদশ দ্বাদশ সব ক্ষেত্রেই টাকা তুলেছেন জীবন। আর জীবনের এই চাকরির জন্য নির্দিষ্ট ছিল রেট। সূত্রের খবর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মাথা পিছু দর ধার্য ছিল ২০-২২ লক্ষ টাকা। নবম ও দশম শ্রেণির জন্য মাথা পিছু নেওয়া হয় ১৫-১৭ লক্ষ টাকা।

tmc mla jiban krishna saha

গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি এর ক্ষেত্রে মাথাপিছু ধার্য ছিল ১০ ও ৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য দিতে হত ১০-১২ লক্ষ টাকা। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত কৌশিক ঘোষের মতো এজেন্টদের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা পৌঁছত জীবনের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে অজস্র চাকরি বিক্রিতে জড়িত এই বিধায়ক।

নিজেও আগে স্কুল শিক্ষক ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রথমে প্রাথমিকে এবং পরে উচ্চ বিদ্যালয়র শিক্ষকতা করেন। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে জীবনের কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির শুরু। পরে তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ারও পর নিজে স্কুলের চাকরি ছেলেকে দেন। তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয় প্রাথমিকে চাকরি করে দেন। সেই চাকরিগুলিও তাঁর প্রভাব খাটিয়ে করা বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা

এখানেঔ শেষ নয়। জীবনের বাবার নামে আলুর কোল্ড স্টোরেজ, চালের ডিস্ট্রিবিউটারশিপ সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে। জীবনের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি। বীরভূমেও সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর