বাংলাহান্ট ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের অন্যান্য দেশে ‘ব্রাহ্মোস’ ক্ষেপনাস্ত্র (BrahMos missile) রফতানি শুরু করতে চলেছে ভারত। এই ক্ষেপনাস্ত্রটি ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করেছিল। ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্রের নির্মাণ দু’দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্কের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলে দেয়। ব্রাহ্মোস এরোস্পেসের সিইও অতুল ডি রানে এই ক্ষেপনাস্ত্রের ব্যাপারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অতুল ডি রানে এই ক্ষেপনাস্ত্র নির্মাণের অন্যতম মাথা।
তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দেশ ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র কিনতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন তিনি। অতুল আরও জানিয়েছেন, ভারতের দ্বারা স্বীকৃত দেশগুলিকে এই ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রি করা হবে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন ব্রাহ্মোস এরোস্পেসের সিইও। সম্প্রতি জল্পনা উঠেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের উপরও একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে পশ্চিমী বিশ্ব।
সেই জল্পনা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন অতুল ডি রানে। তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের ক্ষেপনাস্ত্র কেনার প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। এর উত্তরে তিনি বলেন, “ভারত ও রাশিয়া সরকার যে সমস্ত দেশগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের কাছে এই ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রি করার কথা রয়েছে আমাদের। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এ বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াই ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখাতে পারে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানের ক্ষেপনাস্ত্রটি আরও উন্নত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি এটি তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামে হওয়া ‘ডিফেন্স এক্সপো’-তেও যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মের ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্রের উপর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। এটি ব্রাহ্মোসের থেকে আকারে ছোট হলেও ব্রাহ্মোসের মতোই ক্ষমতা থাকবে। এটির আকার ছোট করা হয়েছে যাতে একটি বিমানে দু’টি ক্ষেপনাস্ত্র ধরতে পারে। আগামী বছরের শেষের দিকে এগুলির পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে এগুলির উৎপাদন ২০২৫ বা ২০২৬-এ হতে পারে বলে জানিয়েছেন অতুল ডি রানে। ব্রাহ্মোসের ছোট ভাই এই ক্ষেপনাস্ত্রের নাম ‘ব্রাহ্মোস এনজি’ রাখা হয়েছে। ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রসঙ্গে রানে জানান, ভারত যদি কোনও ভুল না করে থাকে, তাহলে তাদের কোনও নিষেধাজ্ঞাই জারি করা হবে না। তিনি স্পষ্ট করে দেন, আত্মরক্ষার স্বার্থে ভারত জরুরি পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে। বরং ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে আরও বেশি কাজের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।