বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলার রাজনীতিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নামটা এখন চর্চার কেন্দ্রে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচারের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতি। এই মামলা সংক্রান্ত একের পর এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন তিনি। যার জেরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাঁর জনপ্রিয়তাও। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই মানুষের ভিড় তাঁকে ছেঁকে ধরে। সম্প্রতি বোলপুর ও কলকাতা বইমেলায় দেখা গিয়েছিল সেই দৃশ্য।
একাধিক মানুষ তাঁকে ‘ভগবান’ তকমা দিয়েছেন। বেশ কিছু মানুষের কাছে তিনি ‘সাধারণ মানুষের মসিহা।’ কলকাতা বইমেলার পর বেহালাতেও একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। কলকাতাবাসীর কাছে বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড খুবই পরিচিত একটি জায়গা। এ বার সেখানেই দেখা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে হোর্ডিং। বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। সেখানে হাইকোর্টের এই বিচারপতির ছবিসহ লেখা রয়েছে তাঁর নামে জয়ধ্বনি।
হোর্ডিংয়ে স্পষ্ট করে লেখা ‘বাংলার গর্ব অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এছাড়াও সেখানে আরও বেশ কিছু কথা লেখা রয়েছে। ওই হোর্ডিংয়ে লেখা, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আপনি যেভাবে নজরদারি চালিয়ে আইনের মাধ্যমে সত্যের জন্য লড়াই করছেন, তাতে আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।’ হোর্ডিং যাঁরা লাগিয়েছেন তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
যদিও নাগরিকবৃন্দের তরফে সংবাদমাধ্যমকে বলা হয়েছে, “যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নেতাজি লড়েছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমরা সেভাবেই দেখছি। আজকে ব্রিটিশ না থাকলেও শাসকের এই মুখোশ খোলাটাও জরুরি।’ প্রসঙ্গত, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মানুষের মধ্যে এই মনোভাব বিগত কয়েক মাস ধরেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকেই তাঁকে ‘জনগণের বিচারপতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, “আমি এসব বিষয়ে ভাবি না। আমার কাজ মানুষ যাতে দ্রুত বিচার পান সেটা দেখা। নইলে তাঁরা আর বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখবেন না। তখন তাঁরা স্থানীয় পার্টি অফিস বা লোকাল কমিটির অফিসে যাবেন।” এ বার তাঁর কাজকে কুর্নিশ জানিয়ে কলকাতা শহরের এক ব্যস্ত রাস্তায় হোর্ডিং ঝুলল। এর আগে কোনও বিচারপতিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে এত উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছেন কিনা, তা মনে করতে পারছেন না কেউই।