তাঁকে কিনা কেউ ভোটই দিল না! ‘দুখ’ এর চোটে তৃণমূলই ছেড়ে দিলেন অভিমানী মুনমুন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সময়ে তৃণমূলের তারকা সদস্য ছিলেন শ্রীমতী দেববর্মা। কি চিনতে পারলেন না? তাঁর আসল নামে খুব কম মানুষই চেনে তাঁকে। মহানায়িকা সুচিত্রা সেন কন্যা মুনমুন সেন (Munmun Sen) হিসাবেই বেশি পরিচিত তিনি। অভিনয় থেকে যেসব অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে মুনমুন অন্যতম। তিনিই এবার ছেড়ে দিলেন তৃণমূলের হাত।

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মুনমুন। তাঁর বিপক্ষে ছিলেন তৎকালীন বিজেপির তারকা সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। প্রচার চুটিয়ে করেছিলেন মুনমুন। নিয়ে এসেছিলেন নিজের দুই মেয়ে রাইমা এবং রিয়াকেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান করে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলেছিলেন। এমনকি বাবুলকে পাত্তাও দেননি মুনমুন।

munmun sen

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল বেরোতে স্পষ্টতই হতাশ হন তিনি। গণনার শেষের দিকে মুনমুন বুঝেই গিয়েছিলেন যে বাবুলের কাছে তিনি হারতে চলেছেন। সাংবাদিকদের সামনে রাখঢাক না করেই উগরে দিয়েছিলেন হতাশা, এভাবে হেরে গেলাম!

হতাশা থেকেই সম্ভবত রাজনীতি তথা তৃণমূল থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুনমুন। এক সময় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে রাজনীতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠতেই মুনমুন স্বভাবজাত ভঙ্গিতে উত্তর দেন, ‘এই শোনো! আমি আর কোনো পার্টিতে নেই’।

২০১৪ সালে প্রথম বার মুনমুন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। প্রথম বারেই বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিরোধী সিপিএমকে হারিয়ে সাংসদ হন তিনি। কিন্তু ২০১৯ এ বাঁকুড়ার বদলে আসানসোল কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয় মুনমুনকে। আর সেবারেই বাবুলের কাছে তিনি হেরে যান। সাংবাদিকদের সামনে মুনমুন বলেছিলেন, ‘আমার খুব দুখ হচ্ছে দুখ! তোমরা কেউ আমার সঙ্গে কথা বলবে না’। সেই ‘দুখ’ থেকেই কি পার্টির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন মহানায়িকা কন্যা? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর